(বাঁ দিকে) মুয়াম্মর গদ্দাফি এবং নিকোলাস সারকোজি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
লিবিয়া থেকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য বেআইনি ভাবে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হল। বৃহস্পতিবার প্যারিসের একটি ফৌজদারি আদালত তাঁকে এই সাজা দিয়েছে। এর ফলে প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাবাসের নজির গড়তে চলেছেন তিনি।
এক মাসের মধ্যে সারকোজিকে জেলে যেতে হতে পারে বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের জন্য সারকোজির ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা লিবিয়া থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে তাঁকে সাজা দিয়েছে আদালত। ২০০৭ লিবিয়ায় ক্ষমতায় ছিলেন একনায়ক মুয়াম্মর গাদ্দাফি। পরবর্তী সময়ে যিনি গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। এর আগে ২০০৭ সালের ভোটের প্রচারের জন্য ল’রিয়েল এর উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে বেআইনি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সারকোজির বিরুদ্ধে। ফ্রান্সের একটি আদালত ২০২১ সালে ওই মামলায় সারকোজিকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল।
তবে সে সময় তিন বছরের মধ্যে দু’বছরের কারাদণ্ড মকুব করেছিলেন বিচারক। ফলে শারীরিক ভাবে জেলে যেতে হয়নি সারকোজিকে। কারণ, ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী ২ বছর বা তার বেশি সাজা হলে কারাবাস বাধ্যতামূলক। তবে তার কম সাজা হলে বাড়িতেও সাজা কাটানো যায়। এ বার সেই সুযোগ পাবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। ২০১২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে যান। ২০১২ সালের প্রচারেও বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত অর্থ খরচের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।