মুখ খুলবেন মাকরঁ, আশ্বাস ক্ষুব্ধ ফ্রান্সে

জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পরেও ফুঁসছে দেশ। গত কাল ফের নতুন উদ্যমে মাথাচাড়া দেওয়া বিক্ষোভে হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছে সরকার। ১৭০০ জনকে গ্রেফতার করার পরেও বাধ মানেনি জনতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

তাণ্ডব: ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বর্দোর অ্যাপল বিপণিতে ঢুকে লুট করছে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

টানা চার সপ্তাহের বিক্ষোভে বিধ্বস্ত ফ্রান্সে আজ ‘জাতীয় ঐক্য’ ফেরানোর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ।

Advertisement

জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পরেও ফুঁসছে দেশ। গত কাল ফের নতুন উদ্যমে মাথাচাড়া দেওয়া বিক্ষোভে হাতেনাতে তার প্রমাণ পেয়েছে সরকার। ১৭০০ জনকে গ্রেফতার করার পরেও বাধ মানেনি জনতা। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেটকে উপেক্ষা করে দিনভর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে, দোকানপাট ভেঙে-গুঁড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে হলুদ জ্যাকেট পরা বিক্ষোভকারীদের দল। এই পরিস্থিতিতে আজ সরকার জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। আজ সরকারি মুখপাত্র টেলিভিশনে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের কথা শুনবেন প্রেসিডেন্ট। তবে কোনও যাদুকাঠির ছোঁয়ায় ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভকারীদের সব সমস্যা উধাও হয়ে যাবে না।’’

আগামী বাজেটে জ্বালানির দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মাকরঁকে শেষ জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল ২৭ নভেম্বর। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘গুন্ডাদের গুন্ডামির জন্য সরকার নীতি বদলাবে না।’’ যদিও সেই নীতি বদলাতেই হয়েছে প্রসিডেন্টকে। চাপের মুখে জ্বালানির দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত আপাত স্থগিত করেছে সরকার। কূটনীতিকরা বলছেন, মাঝখান থেকে মাকরঁর কয়েক সপ্তাহের ‘নীরবতা’ দেশবাসীর ক্ষোভে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

Advertisement

অশান্তির সূত্রপাত ২০১৯ সালের নয়া বাজেট বিলে জ্বালানির দামে কর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে। আজ প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ বলেছেন, ‘‘কোনও করই আমাদের জাতীয় ঐক্যকে ভাঙতে পারবে না। আলোচনার মাধ্যেমে, কাজের মাধ্যমে এবং একজোট হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সেই ঐক্য পুনর্গঠন করতে হবে।’’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কাল ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। পয়লা ডিসেম্বর, অর্থাৎ বিক্ষোভ শুরুর প্রথম দিনের সমান। বিক্ষোভ সামাল দিতে মোতায়েন ছিল ৯০ হাজার পুলিশ। শুধু প্যারিসেই ৮ হাজার। রাস্তায় টহল দেয় ১২টি সাঁজোয়া গাড়ি। তার পরেও প্যারিসে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেয় গাড়িতে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গতকাল প্যারিসের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পয়লা ডিসেম্বরের তুলনায় বেশি। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদীদের দিকে রবার বুলেট ছুঁড়ছে পুলিশ। আহত হন কয়েক জন সংবাদকর্মীও। জখম হয়েছেন ১৭ জন পুলিশ অফিসার। বিক্ষোভ অনেকাংশে সামাল দেওয়ার জন্য টুইটে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন মাকরঁ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন