আবার কম্পন নেপালে, ধসে ব্যাহত উদ্ধারকাজ

ধস, তুষারপাত আর প্রবল বৃষ্টি ছিলই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে চার-চারটে পরবর্তী কম্পন। কাল রাত থেকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফের বিধ্বস্ত নেপাল। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে বৃষ্টি আর ধসের জেরে দেশের তিনটি প্রত্যন্ত জেলায় উদ্ধারকাজ ভীষণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রিখটার স্কেলে প্রতিটি কম্পনের মাত্রাই ছিল চার বা তার উপরে। আর তার ফলেই দেশ জুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কাল রাত একটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সিন্ধুপালচক জেলায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০৩:০৩
Share:

ধস, তুষারপাত আর প্রবল বৃষ্টি ছিলই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে চার-চারটে পরবর্তী কম্পন। কাল রাত থেকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফের বিধ্বস্ত নেপাল। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে বৃষ্টি আর ধসের জেরে দেশের তিনটি প্রত্যন্ত জেলায় উদ্ধারকাজ ভীষণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

Advertisement

রিখটার স্কেলে প্রতিটি কম্পনের মাত্রাই ছিল চার বা তার উপরে। আর তার ফলেই দেশ জুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কাল রাত একটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সিন্ধুপালচক জেলায়। তার পর আজ দুপুর পর্যন্ত উদয়পুর, কাভরে জেলাতেও বেশ কয়েক বার পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয় পেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। গত ২৬ এপ্রিলের সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও সকলের মনে টাটকা। তাই কাল রাতে কম্পনের পর থেকে আর বাড়ি ফিরতে চাইছেন না অনেকেই। স্থানীয় স্কুল বা মন্দিরে রাত কাটানোটাই শ্রেয় বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

এ দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ জুড়ে উদ্ধারকাজ প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। তুষারধসের ফলে জনপ্রিয় ট্রেকিং এলাকা লাঙ্গতাঙ্গ ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপাল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকা থেকে ৯০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নেপাল সরকারের হিসেব অনুযায়ী, সম্পূর্ণ ধুলিসাৎ ছ’হাজারেরও বেশি বাড়ি। বৃষ্টি আর ধসের জেরে যে তিনটি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তার মধ্যে শুধুমাত্র গোর্খা জেলাতেই প্রায় ১২০ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement