রবার্ট মুলার। ছবি: রয়টার্স
এ বার হাতিয়ার গ্র্যান্ড জুরি বোর্ড।
প্রেসিডেন্ট যত জোর দিয়ে ‘না’ বলছেন, ততই যেন জাঁকিয়ে বসছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। সূত্রের খবর, মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে গতি আনতে ওয়াশিংটন ফেডেরাল কোর্টে সম্প্রতি গ্র্যান্ড জুরি বোর্ড গঠন করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা সংস্থার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখাই কাজ জুরি বোর্ডের। সাধারণত এই বোর্ডে থাকেন নাগরিক সমাজেরই একাংশ। তদন্তের প্রয়োজনে যে কাউকে ডেকে পাঠিয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে বাধ্য করতে পারে এই বোর্ড। কিন্তু এদের সব কারবারই যে গোপনে! এরই মধ্যে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্তত ৫ জন কর্মকর্তাকে জেরা করা হয়েছে। তাই কার নামে যে কখন সমন আসে, আপাতত সেই অঙ্কই কষছে ট্রাম্প-শিবির।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য গত কালও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক সমাবেশে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের প্রচারে যে রাশিয়ার কোনও অস্তিত্ব ছিল না, তা বেশির ভাগ মানুষই জানেন। আমরা রাশিয়ার কারণে জিতে আসিনি। জিতেছি শুধুই আপনাদের জন্য।’’
আরও পড়ুন: এফবিআই জালে ওয়ানাক্রাই-হিরো
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের চূড়ান্ত রিপোর্ট কিন্তু তা বলছে না। বিরোধীরাও এ নিয়ে ক্রমাগত সুর চ়ড়াতে থাকায়, গত বছর মে মাসে মুলারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী কাউন্সিল গড়ে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। সূত্রের খবর, রুশ আইনজীবী নাতালিয়া ভেসেলনিৎস্কায়ার সঙ্গে গত বছর জুনে ট্রাম্প-পুত্র এবং জামাইয়ের বিশেষ বৈঠকের খবর সম্প্রতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই গ্র্যান্ড জুরি বোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠক সম্পর্কে সবিস্তার জানতে পাঠানো হয়েছে সমনও!
মার্কিন-রুশ সংযোগ তদন্তে জুরি বোর্ড গঠন অবশ্য এর আগেও হয়েছে। মুলার তখনও দায়িত্বে আসেননি। কিন্তু এ বার তদন্তকারীদের নজরে প্রেসিডেন্টের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনও। ট্রাম্পের তৎকালীন প্রচার ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টও ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে ছিলেন। নজর রাখা হচ্ছে তাঁর উপরেও। পাশাপাশি, প্রাক্তন এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে ট্রাম্প ঠিক কি কারণে বরখাস্ত করেছিলেন, জুরি বোর্ড তা-ও খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছে হোয়াইট হাউস? ট্রাম্প শিবিরের দাবি, এখনও প্রেসিডেন্ট কিংবা তাঁর পরিবারের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়নি। বরং সপ্তাহ তিনেক আগেই মুলারের সঙ্গে দেখা করে তদন্তে সহযোগিতারই আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্পের আইনি পরামর্শদাতারা। মুলার যে গ্র্যান্ড জুরি বোর্ড গঠন করেছেন, সেটাও জানেন না বলে দাবি করেছেন ট্রাম্পের নিজস্ব কৌঁসুলি টাই কব।