আইএস-টুপি সর্ষের মধ্যে ভূত: হাইকোর্ট

ওই আইনজীবী বিচারকরদের জানান, পুলিশ বলছে তারা কিছু জানে না। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগার থেকে টুপি আসামিরা নিয়ে আসেনি। এ জন্য জেল কর্তৃপক্ষও তদন্ত করছেন। হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আসামিদের হাতে তা হলে ওই আইএস টুপি দিল কে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০২
Share:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুলের টুপিতে আইএসের লোগো।ঢাকার আদালত চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও গুলশনের রেস্তরাঁয় হামলার দুই আসামির হাতে কী ভাবে আইএস-এর লোগো দেওয়া টুপি এল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে ঢাকা হাইকোর্টের এক বেঞ্চ। বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘সর্ষের মধ্যেই ভূত!’’

Advertisement

অন্য একটি মামলায় আইনজীবী জেড আই খান পান্না বিচারপতিদের বলেন, ‘‘সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছি আদালতে পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে আসামিদের হাতে আইএস-এর চিহ্ন দেওয়া টুপি পৌঁছে যাচ্ছে। এর পরে তো নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি চিন্তিত। রবিবার বেঞ্চের দুই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি বিস্ময়কর। তবে বুকে সাহস নিয়ে চলতে হয় মানবাধিকার কর্মীদের।’’

ওই আইনজীবী বিচারকরদের জানান, পুলিশ বলছে তারা কিছু জানে না। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগার থেকে টুপি আসামিরা নিয়ে আসেনি। এ জন্য জেল কর্তৃপক্ষও তদন্ত করছেন। হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আসামিদের হাতে তা হলে ওই আইএস টুপি দিল কে? ইতিমধ্যে কারা দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এ দিন সরকারের কাছে পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রত্যেক আসামিকে যথেষ্ট তল্লাশি করা হয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কারাগার থেকে সঙ্গে ওই টুপি নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

নিম্ন আদালতে গুলশন রেস্তরাঁ মামলার রায় বেরনোর দিন নিরাপত্তার কারণে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। আইনজীবী ও সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের একমাত্র ছাড় ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সে দিনের ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে ৩০ জনকে আসামিদের আশেপাশে যেতে দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে দু’জন ভুয়ো আইনজীবীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনজীবীর পোশাক পরে তাদের আসামিদের লিফটে দেখা গিয়েছে। করিডরেও তারা ঘোরাঘুরি করছিল। এদের এক জনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। এদের কেউ আসামিদের হাতে টুপি দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন