আদালত চত্বর ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। ছবি: এপি।
ঠিক যেন থ্রিলার ছবি!
আদালত কক্ষে হাজির করার সময় পালানোর চেষ্টা করে এক বন্দি। আর সেই সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক কেড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। তাতে নিহত হয়েছেন আদালতের দুই পেশকার। আহত আরও দুই। পুলিশের পাল্টা গুলিতে মারা যায় ওই বন্দি।
সোমবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম মিশিগানের সেন্ট জোসেফের বেরিয়েন কাউন্টি আদালত। শেরিফ পল বেইলি জানান, নিহতদের নাম জোসেফ জ্যাঙ্গারো (৬১) এবং রোনাল্ড কিয়েনজেল (৬৩)। অবসরের পর তাঁরা পেশকার হিসেবে কাজ করছিলেন। বেইলি বলেন, ‘‘ওঁদের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের পরিচয়। দিনটা খুবই দুঃখের।’’ পুলিশ জানায়, নিহত ওই বন্দির নাম ল্যারি ডারনেল গর্ডন (৪৪)। অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আদালতে হাজিরার সময় পালানোর চেষ্টা করে ল্যারি। আচমকাই এক অফিসারের উপর চড়াও হয়ে তাঁর বন্দুক ছিনিয়ে গুলি চালাতে থাকে সে। লুটিয়ে পড়েন ওই দুই অফিসার। এর পরে ল্যারি কয়েক জনকে পণবন্দি করে। তখনই তাকে লক্ষ করে পাল্টা গুলি চালান পুলিশ অফিসারেরা। মৃত্যু হয় ল্যারির।
তদন্তের পর শেরিফ জানিয়েছেন, গর্ডনকে হাতকড়া পরানো ছিল বলে মনে হয় না। আর সে যে এই ভাবে হিংস্র হয়ে উঠতে পারে, তেমন কোনও সতর্কবার্তাও ছিল না। তিনি আরও জানান, তদন্তের জন্য সোমবার রাত পর্যন্ত আদালত চত্বরের আশপাশের এলাকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর মঙ্গলবার আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, ল্যারির প্রাক্তন স্ত্রী জেসিকা গর্ডন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, রবিবারও ল্যারির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। কিন্তু হামলার কোনও ছক তার ছিল না। চলতি বছরের গোড়ার দিকেই ল্যারির সঙ্গে জেসিকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু ছ’বছরের মেয়ের সঙ্গে ল্যারি যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল। জেসিকার আক্ষেপ, ‘‘মনে হয়, নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্যই পালানোর চেষ্টা করেছিল ও। আর ল্যারি ভালই ছিল কিন্তু অসৎ সঙ্গে পড়ে ওর এই অবস্থা হয়।’’