Israel-Hamas Conflict

বিদেশি পণবন্দিদের কয়েক জনকে মুক্ত করার উদ্যোগ, গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার মধ্যেই জানাল হামাস

হামাস জানিয়েছে, তাঁদের হাতে আটক পণবন্দিদের কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই ঘোষণা হামাসের পিছু হটার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৯
Share:

গাজ়ার ধ্বংসস্তূপ থেকে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।

বিদেশি পণবন্দিদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিল হামাস। প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে আটক পণবন্দিদের কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। গাজ়ায় ইজরায়েল যখন হামলার তীব্রতা ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে, সেই সময় হামাসের এই ঘোষণা তাদের পিছু হটার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাসের ‘হামলা’ এবং গাজ়ায় ইজ়রায়েলি ‘প্রত্যাঘাতে’র পর যে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল, তাতে দু’পক্ষেরই হতাহতের সংখ্যা প্রচুর। জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েল তো বটেই বিভিন্ন দেশের মোট ২৩০ জন নাগরিককে আটকে রেখেছে হামাস। মূলত দর কষাকষির জায়গায় সুবিধা পেতেই ওই বন্দিদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এই আবহেই একটি টেলিভশন-বক্তৃতায় হামাসের অন্যতম মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেন, “আমরা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কিছু বিদেশিকে ছেড়ে দিতে চাই। আমরা এই বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছি।”

এর আগে মোট পাঁচ জন পণবন্দিকে ছেড়েছিল হামাস। এদের মধ্যে চার জনকে কূটনৈতিক মাধ্যমে আলাপ আলোচনার পর ছাড়া হয়। আর এক জনকে উদ্ধার করে ইজ়রায়েলি সেনা। তেল আভিভের তরফে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়ে তারা হামাসের উপর সামরিক এবং কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে যেতে থাকবে।

Advertisement

গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজ়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫২৫ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু-কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার ৫৪২ জন। সোমবার পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩০৬ জন। অর্থাৎ, এক দিনে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ইজ়রায়েলের হামলায়। তার পাশাপাশি, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও মৃত্যু হয়েছে দুই প্যালেস্তিনীয়ের। মঙ্গলবারও গাজ়ার শরণার্থী শিবিরে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চলেছে। বিস্ফোরণের ফলে উত্তর গাজ়ার সব চেয়ে বড় শরণার্থী শিবির নিমেষের মধ্যে কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন