প্রতীকী ছবি।
ঘন কুয়াশা নয়। তুমুল বজ্রপাতও নয়। বিমান চলাচল রুখে দিল চার পাশ ঝলসে দেওয়া রোদ! চামড়া ফুঁড়ে দেওয়া তাপ। দিনকয়েক ধরে চলা কল্পনাতীত তাপপ্রবাহ।
মার্কিন মুলুকের অ্যারিজোনা স্টেটের ফিনিক্সে। মঙ্গলবার। ‘বার্নট টিউইসডে’!
ফিনিক্স পাখি যেমন রূপকথার কথা মনে করিয়ে দেয়, তেমনই মঙ্গলবারের ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লিখে দিল অ্যারিজোনার ফিনিক্সের নাম। মঙ্গলবার যেখানকার তাপমাত্রা ছিল ১১৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। হিসেবটা সেলসিয়াসে কষলে ৪৮.৩ ডিগ্রি।
আমাদের বাঁকুড়া, পুরুলিয়াকে অসম্ভব গরমে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে দেখেছি। কিন্তু সেই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের জন্য বিমান চলতে পারেনি, এমন ঘটনা কখনও ঘটেছে বলে শুনেছেন?
শোনা যায়নি বলেই রূপকথার ‘ফিনিক্স’-এর মতোই মঙ্গলবার ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল অ্যারিজোনার ফিনিক্সের নাম। জলবায়ু পরিবর্তনের দৌলতে।
আরও পড়ুন- ধ্বংস ধেয়ে এল বলে! দ্রুত পৃথিবী ছাড়ুন, হুঁশিয়ারি হকিংয়ের
ফিনিক্স অবশ্য এ দিন একটু পিছিয়ে ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমির চেয়ে। ক্যালিফোর্নিয়া মরুভূমির তাপমাত্রা ছিল এ দিন ১২৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট। রাত ১০টাতেও পারদ ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে নামেনি! ভাবতে পারেন?
ফলে ফিনিক্স স্কাই হারবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট মঙ্গলবার সব বিমান বাতিল করে দেয়। বাতিল হয় ৫০টি বিমান। যে বিমানগুলির নামার বা ফিনিক্সের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাদের আকাশ-পথ বদলাতে দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯৯০ সালের ২৬ জুন এর চেয়েও বেশি তাপমাত্রা ছিল ফিনিক্সের। ১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সে দিন কিন্তু অল্প হলেও ফিনিক্স বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করেছিল কিছু বিমান।
‘বার্নট টিউইসডে’ তাই ফিনিক্সকে এ বার ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে দিল!