ক্যালিফোর্নিয়ার সেই মন্দিরের দেওয়াল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, কানাডার অটোয়ার পরে এ বার আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় হানাদারির অভিযোগ উঠল খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। ওই মন্দিরের দেওয়ালে কালো রঙে খলিস্তানপন্থী স্লোগান লেখা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার নেপথ্যে কানাডায় আত্মগোপনকারী জঙ্গি নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের নিউইয়র্ক শহরের ওই ঘটনার জেরে ‘হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত ‘স্বামীনারায়ণ মন্দির বাসনা সংস্থা’ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই মন্দিরের দেওয়ালে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান লেখার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে নাগরিক অধিকার আদালতেও। ক্যানিফোর্নিয়ার রাজধানী সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনস্যুলেটের তরফে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের কাছে এ বিষয়ে ‘বার্তা’ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া-সহ কয়েকটি দেশে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসএফজে চায় পঞ্জাবের মধ্যে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ খলিস্তান রাষ্ট্র গড়তে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য বড়সড় হুঁশিয়ারি এই সংগঠন। ২০২০ সালে সংগঠনের নেতা পন্নুনকে জঙ্গি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার পরেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের মদতে সে দেশে বসে পন্নুন ধারাবাহিক ভাবে ভারত বিদ্বেষী প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির।
সম্প্রতি, আমেরিকার তরফে অভিযোগ উঠেছে এসএফজে প্রধান পন্নুনকে খুনের চেষ্টায় জড়িত রয়েছেন ভারতীয় গুপ্তচরেরা। আমেরিকান কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত পাঁচ সদস্যের তরফেই এসেছে ওই অভিযোগ। যা নিয়ে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভারত সব সময়ই আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধ। দেশের কোনও নাগরিক যদি কিছু করে থাকেন, তা হলে সরকার তা খতিয়ে দেখবে।’’ চলতি বছর সিডনি এবং অটোয়ায় হিন্দু মন্দিরের খলিস্তানপন্থী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠেছিল এসএফজের বিরুদ্ধে। কানাডা, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছে খলিস্তানপন্থীরা।