Anthony Torres

ট্রেনে দাড়ি কামিয়েই চাকরির লোভনীয় অফার পেলেন ইনি

এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা অ্যান্টনি টোরেসের। চোখের নিমেষেই ঘটে গেল সবকিছু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ জার্সি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৮
Share:

ছিলেন রাস্তায়। উঠে এলেন প্রাসাদে। মিলল লোভনীয় চাকরির প্রস্তাবও। তাও আবার রাতারাতি। ঠিক যেন রূপকথার গল্প! এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা অ্যান্টনি টোরেসের। চোখের নিমেষেই ঘটে গেল সবকিছু। সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া।

Advertisement

৫৬ বছরের অ্যান্টনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বাসিন্দা। ভবঘুরের মতোই জীবন কাটাচ্ছিলেন এতদিন। শারীরিক অসুস্থতার জেরে কর্মশক্তি হারিয়েছিলেন। রোজগার ছিল না। ছিল না মাথার ওপর ছাদও। বাধ্য হয়ে রাস্তায় ঠাঁই নিতে হয় তাঁকে। পরিবার পরিজন যে ছিল না, তা নয়। তবে কারও ঘাড়ে বোঝা হতে চাননি তিনি।

তাই কখনও সেতুর নীচে মাথা গুঁজতেন। কখনও পড়ে থাকতেন রাস্তার ধারে। তবে তাতেও শান্তি ছিল না। পথ চলতি মানুষের দয়া দাক্ষিণ্য মিলত বটে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে তাও লুঠ হয়ে যেত। বাধ্য হয়ে একদিন নিজের এক ভাইকে ফোন করেন তিনি। আশ্রয়ের প্রার্থনা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কান্নার শক্তিও নেই কঙ্কালসার চেহারাগুলোর

আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল ক্যাপ্টেন কুকের হারিয়ে যাওয়া শতাব্দী প্রাচীন রহস্যময় জাহাজের​

না আশ্রয় জোটেনি সেখানে। কিছু টাকা পাঠিয়েই হাত তুলে নিয়েছিলেন সেই ভাই। অ্যান্টনির হাতে ট্রেনের একটি টিকিট ধরিয়ে দিয়েছিলেন। চলে যেতে বলেছিলেন অন্য আর এক ভাইয়ের কাছে।

ভাইয়ের কথা মতো নিউ জার্সির পেন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পড়েন অ্যান্টনি। কিছুদূর যাওয়ার পর খেয়াল হয়, মুখ ভর্তি দাড়ি। গায়ে ময়লা জমেছে। এমন অবস্থায় কেউ কি মেনে নেবে!যেমন ভাবা তেমনি কাজ। তড়িঘড়ি নিজের পোঁটলা থেকে রেজার বের করেন। ট্রেনের জানলায় মুখ দেখে দাড়ি কামাতে শুরু করেন।

পাশে বসা এক যাত্রী নিজের মোবাইলে তা রেকর্ড করেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। প্রথম কয়েক দিনেই ভিডিওটির দর্শক সংখ্যা ৩০ লক্ষ পেরিয়ে যায়। হইচই পড়ে যায় সর্বত্র। তবে তার কিছুই টের পাননি অ্যান্টনি। পরে ভাইঝির কাছ থেকে জানতে পারেন।

এই ভিডিওটি-ই ভাগ্য বদলে দেয় অ্যান্টনি টোরেসের

তবে সকলেই তাঁকে ভালভাবে নেননি। ট্রেনের কামরা নোংরা করার জন্য প্রথম দিকে নেটিজেনরা তিরস্কারই করেন তাঁকে। তবে সমবেদনায় নেট দুনিয়া গলতে শুরু করে কিছুদিন পর থেকে। অনলাইন তাঁর জন্য ত্রাণ জোগাড় করতে শুরু করেন কলম্বিয়ার বাসিন্দা জর্ডন উল। ‘গো ফান্ড মি’ নামের একটি সোশ্যাল পেজ শুরু করেন তিনি। তাতে দু'দিনেই প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা ওঠে। নিউ জার্সির পরিবহণ দফতরের তরফে চাকরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন