চিনে নিষিদ্ধ যে সব সামাজিক প্ল্যাটফর্ম- চিনে তিয়েনানমেন স্কোয়ার বিভীষিকার মতো কিছু শব্দ সার্চ করলে তা ফিল্টার করা হয় এবং এরর মেসেজ দেখায়। এমনকী অ্যাপসের উপরও নজরদারি চালানো হয়। চিনে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল, ইউটিউব নিষিদ্ধ। এর বদলে সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে সিনা ওয়েবো রয়েছে। যার ইউজার সংখ্যা ৩৪ কোটির বেশি।
কোন কোন বিষয়ে নজরদারি চালায়- দেশি-বিদেশি সমস্ত ওয়েবসাইটের তথ্য এমনকী ইমেল, চ্যাটের উপরেও নজর রাখে এই সিস্টেম। সব তথ্য সেন্সর করে, প্রয়োজন পড়লে মুছে দেওয়া হয়। আর যদি রাষ্ট্র বিরোধী কোনও তথ্য থাকলে তা হলে পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো আইনত ব্যবস্থা নেয়।
ফায়ারওয়ালের দেখভালে যারা- চিনের সবচেয়ে বড় এই ডিজিটাল নজরদারি সিস্টেমটি কিন্তু আমেরিকায় তৈরি। জানা গিয়েছে, সিস্কো সিস্টেমের মতো বেশ কিছু মার্কিন নেটওয়ার্ক সংস্থা সাহায্য করেছে তাদের এই প্রোজেক্টে। এখন এই সিস্টেমের দায়িত্বে রয়েছে সে দেশের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো এবং চিনের জাতীয় পুলিশ।
স্লো ইন্টারনেট- চিনের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ইন্টারনেট ট্রাফিক স্লো করে দেয় ফায়ারওয়াল। আন্তর্জাতিক সার্ভিস প্রোভাইডারদের চিন সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য তাদের সার্ভারে রাখতে বাধ্য করে ফায়ারওয়াল।
সবচেয়ে বড় সেন্সরশিপ নেটওয়ার্ক- রাষ্ট্রের আইন বিরোধী কোনও তথ্য, মন্তব্য, ছবি, ভিডিও যদি তাদের এই নেটওয়ার্কে ধরা পড়ে তা সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়না- চিনের সরকারি সিস্টেম এই ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়না’। চিনের গোল্ডেন শিল্ড প্রোজেক্টের তত্ত্বাবধানে চলা সিস্টেমটি ওয়েবসাইট, অ্যাপস এবং ডিজিটাল সার্ভিসে কড়া নজর রাখে।