India-China

হতাহত কত, মুখে কুলুপ বেজিংয়ের

বেজিং নীরব থাকলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে চিনা সেনার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৬:১০
Share:

ছবি সংগৃহীত।

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কত জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন, গত কাল রাতেই তা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এতটা সময় কেটে গেলেও নিজেদের সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে চিন। মার্কিন গুপ্তচর বাহিনী অবশ্য মনে করছে, সোমবার রাতে লাদাখের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন চিনা সেনা নিহত হয়েছেন।

Advertisement

তাৎপর্যের বিষয় হল, চিনের একাধিক সরকারি সংবাদমাধ্যম লাদাখের সংঘর্ষের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও ঠিক কত জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে একেবারেই নীরব। সে দেশের কূটনৈতিক কিংবা সেনাও সূত্রেও এ ব্যাপারে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। উল্টে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ তাদের সম্পাদকীয়তে যুক্তি দিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা জানালে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে। সে জন্যই এ ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করেনি চিনের সরকার। ওই সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদকের যুক্তি, ‘সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থেই’ হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করবে না বেজিং। অবশ্য গত কাল দুপুরে ওই সংবাদপত্রেরই এক সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, ৫ জন চিনা সেনা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন, আহত ১১ জন।

বেজিং নীরব থাকলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে চিনা সেনার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। গত কালই একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছিল, লাদাখের সংঘর্ষে ৪৩ জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছেন। আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রেই খবর মিলেছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির এক কমান্ডিং অফিসার লাদাখের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। এরই মধ্যে মার্কিন গুপ্তচরবাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি আমেরিকান সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, লাদাখের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন চিনা সেনা নিহত হয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ওই ঘটনাকে সেনার অপমান হিসেবেই দেখছে বেজিং।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনা পণ্য বয়কট বর্জনের ডাক সামলানো যাবে তো?

করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠে এসেছিল আন্তর্জাতিক স্তরে। এ বার লাদাখ সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও বেজিং কোনও তথ্যই দিচ্ছে না। তবে অনেকেরই বক্তব্য, চিনের ক্ষেত্রে এটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। অতীতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে এমনই মনোভাব দেখিয়ে এসেছে বেজিং। নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে দুনিয়াকে না জানানোর সব চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: লাদাখে চিনা হামলার কথা বাকি বাহিনী প্রায় ছ’ঘণ্টা পরে জানতে পারে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন