পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে বাণিজ্য করিডর তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে বেজিং, ঠিক সেই সময়ই ভারতের সঙ্গেও একটি নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তিতে সই করতে চলেছে তারা। আগামী কাল দিল্লিতে এই প্রথম এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হবে ভারত এবং চিনের মধ্যে।
চিনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ঝাও কেঝি-র সঙ্গে চুক্তিটি চূড়ান্ত করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও আলোচনা করবেন ঝাও। দু’টি বিষয়কে নয়াদিল্লি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রথমটি হল জইশ ই মহম্মদের
প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। বেজিং বাদ সাধায় সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি। সাউথ ব্লক আশাবাদী, আগামিকালের বৈঠকে এই বিষয়ে কিছুটা এগোনো যাবে।
দ্বিতীয়ত, আলফার শীর্ষ নেতা পরেশ বরুয়াকে ফেরত আনতে চিনের হস্তক্ষেপ দাবি করবে কেন্দ্র। ভারত, চিন এবং মায়ানমারের ত্রিদেশীয় সীমানায় আত্মগোপন করে রয়েছেন পরেশ, এমনটাই ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর। এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য বেজিং-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে ভারতের সঙ্গে চিনের বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নেই। তাই বিষয়টি নির্ভর করবে চিনের রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর, মনে করছেন কেন্দ্রীয় কর্তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, ২০১৫ সালে রাজনাথ সিংহের চিন সফরের সময়েই এই চুক্তিটি নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হচ্ছিল না বেজিং। তাদের বক্তব্য ছিল, সার্বিক চুক্তি না করে সেক্টর ধরে ধরে চুক্তি করা হোক। কিন্তু সম্প্রতি উহানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর একমত হয় দু’দেশ। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ইসলামি সন্ত্রাসবাদের ছায়া থেকে এখন আর মুক্ত নয় বেজিংও। তাই ভারতের মতো দেশের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার একটা দায় তাদের দিক থেকেও রয়েছে।