Joe Biden

জো বাইডেনের আফগান নীতি স্বস্তি দিচ্ছে না ভারতকে

বাইডেন সরকারের নতুন কাবুল নীতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দু দফা কথা হয়েছে আমেরিকার প্রতিনিধিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০৭:১০
Share:

জো বাইডেন এবং এস জয়শঙ্কর।

আফগানিস্তান থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমেরিকার ভিতরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। রিপাবলিকান এমনকি ডেমোক্র্যাটদেরও একাংশ এর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সাউথ ব্লক এই ঘটনার সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তাও সংযুক্ত বলে মনে করছে। আফগানিস্তান আবার তালিবানদের কব্জায় যেতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে লাভবান হতে পারে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। তার পরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘটনার ২০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এই মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানো সংক্রান্ত আলোচনাচক্র, ইস্তানবুল কনফারেন্স। আয়োজক তুরস্ক। সেখানে যোগ দেবে ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, ব্রিটেন, রশিয়া, ফ্রান্স-সহ কুড়িটি দেশ।

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, বাইডেন সরকারের নতুন কাবুল নীতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দু দফা কথা হয়েছে আমেরিকার প্রতিনিধিদের। প্রথমে সে দেশের আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিশেষ দূত জালমেই খলিলজাদ এবং তার পর আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন-এর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁর। কাবুল সমস্যার আশু সমাধান যে বাইডেন চাইছেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত ওয়াশিংটন থেকে তখনই পাওয়া গিয়েছিল।

Advertisement

তবে তালিবান নেতৃত্বের হিংসা কমানোর প্রতিশ্রুতি যতক্ষণ না বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করাই বিবেচকের কাজ হবে বলে মনে করে সাউথ ব্লক। ফলে বাইডেনের সেনা সরানোর নীতি ভারতের জন্য স্বস্তিজনক নয়। পাশাপাশি আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় তুরস্ককে সামিল করার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা, যাতে ঘোর আপত্তি রয়েছে ভারতের। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে তুরস্ক এবং পাকিস্তানের অক্ষ ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহার করার পর তুরস্ক এবং পাকিস্তান ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-বিরোধী বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছে। আপাতত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন