অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ ভারত-পাকিস্তানের।—প্রতীকী ছবি।
অধিকৃত কাশ্মীর আসলে ভারতের। সেটি জবরদখল করে রেখেছে পাকিস্তান। সেখানে তাদের কর্তৃত্ব মানে না ভারত। গত কয়েক দশক ধরে নিজেদের এই অবস্থানে অনড় ভারত। ইমরান খানের ভূমিতে দাঁড়িয়ে ফের সেই কথা বুঝিয়ে দিলেন এক ভারতীয় কূটনীতিক। অধিকৃত কাশ্মীরের এক ‘মন্ত্রী’ হাজির থাকায়, সার্ক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি।সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে বিষয়টি সামনে এল।
১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারত, পাকিস্তান, মলদ্বীপ, বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা—এই সাতটি দেশ নিয়ে গড়ে ওঠে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন, সার্ক। ২০০৭ সালে তাতে যোগ দেয় আফগানিস্তানও। ৮ ডিসেম্বর দিনটি প্রতিবছর ‘সার্ক চার্টার ডে’ হিসাবে পালিত হয়।
রবিবার সেই উপলক্ষে ইসলামাবাদে বিশেষ বৈঠক ছিল সার্ক বাণিজ্যিক ও শিল্প সংগঠনের। তাতে হাজির ছিলেন ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের আধিকারিক শুভম সিংহ। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ‘মন্ত্রী’ চৌধরি মহম্মদ সঈদও হাজির থাকবেন বৈঠকে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। কারণ অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মানে ভারত। সেখানে পাকিস্তানের প্রশাসনিক আধিপত্যের বৈধতা মানে না নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: ছাড়া হচ্ছে না বিজেপি কর্মীর দেহ, আসানসোলে শুরু অবরোধ, বন্ধের ডাক দেওয়ার ভাবনা
আরও পড়ুন: এনডিএ-তে ফাটল, জোট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা
অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে আয়োজিত ১৯তম সার্ক সম্মেলন থেকে নাম তুলে নেয় ভারত। কারণ ওই বছরই জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনা শিবিরে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ, ভূটান এবং আফগানিস্তানও সম্মেলন থেকে নাম তুলে নিয়েছিল। যে কারণে শেষমেশ সম্মেলন বাতিল করতে হয়। তার পর থেকে গত দু’বছরে সার্ক সম্মেলনই হয়নি।
সন্ত্রাস ইস্যুতেও একাধিকবার পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে ভারত। এ বছর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন চলাকালীন দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ছিল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাতে পুলিশ কর্মীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তা বাতিল করে ভারত। ২০১৬ সালে উপত্যকায় সেনা অভিযানে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির ছবি দিয়ে ইসলামাবাদের ডাক টিকিট চালু করার সিদ্ধান্তও বৈঠক বাতিলের অন্যতম কারণ ছিল।