India-China Conflict

চিনের সঙ্গে সংঘাতের দায়ও নেহরুর: জয়শঙ্কর

এ বার চিন নিয়ে জওহরলাল নেহরুকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, চিন নিয়ে ‘অবাস্তব রোমান্টিকতা’ ছিল নেহরুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪০
Share:

ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

কাঠগড়ায় সেই জওহরলাল নেহরু!

Advertisement

এ বার চিন নিয়ে তাঁকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, চিন নিয়ে ‘অবাস্তব রোমান্টিকতা’ ছিল নেহরুর। বাস্তবটা কখনও বোঝেননি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন সমস্যার জন্য বারংবার নেহরুকেই দায়ী করে থাকেন বিজেপির নেতানেত্রীরা। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘গত ৭৫ বছরের ভারত-চিন সম্পর্কে অনেক অধ্যায় আছে। একটা অধ্যায় বাস্তববোধ সম্পন্ন। আর একটি রোম্যান্টিসিজমে ভরা, বাস্তববোধহীন। যা শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই। চিনকে কী ভাবে সামলাতে হবে সেটা নিয়ে নেহরু এবং পটেলের মধ্যে বিস্তর মতবিরোধ ছিল। নেহেরুর চিন নীতির তীব্র বিরোধী ছিলেন সর্দার পটেল। আজ মোদী সরকার অনেকটাই বাস্তবোচিত পদক্ষেপ করছে। যেটা শুরু করতে চেয়েছিলেন সর্দার পটেল।” বিদেশমন্ত্রীর দাবি, নেহরুর ‘অবাস্তব নীতি’ খারিজ করে দিয়ে মোদী সরকার বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনের সঙ্গে একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে।

Advertisement

গলওয়ানে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে মোদী সরকারকে আক্রমণ করছে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী। কয়েক মাস আগে লাদাখে দাঁড়িয়েই রাহুল বলেছিলেন, ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে চলে যায়নি বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, তা মিথ্যা। যে প্যাংগং হ্রদের একাংশে চিনের সেনা ভারতীয় সেনার দখলে থাকা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। প্যাংগং হ্রদের পাশে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুলের বক্তব্য ছিল, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ভারতের এক ইঞ্চিও জমি চিনের দখলে নেই। এটা একেবারেই সত্য নয়, এখানে যে কাউকে প্রশ্ন করলেই সেটা জানা যাবে।” প্রসঙ্গত তিন বছর আগে গলওয়ানে ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পরে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলেন, কেউ ভারতের জমিতে ঢোকেনি। কেউ ভারতের জমিতে ঢুকে বসে নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন