ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র।
ব্যাগে রাখা ছিল একটি ব্রেস্ট পাম্প। কিন্তু সঙ্গে কোনও শিশু ছিল না। এতে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের। শিশু না থাকা সত্ত্বেও ব্রেস্ট পাম্প কেন রাখা আছে ব্যাগে? মহিলার জবাবে নাকি সন্তুষ্ট হননি নিরাপত্তারক্ষীরা। আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে টানা ৪৫ মিনিট জেরা করা হয় তাঁকে। সত্যিই এই যন্ত্রটি কাজে লাগে কি না জানতে সেখানেই জামা খুলে হাতেনাতে তাঁর ল্যাকটেশন পরীক্ষা করেন এক মহিলা অফিসার। চূড়ান্ত হেনস্থা এবং একই সঙ্গে অপমানিত হয়ে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফ্রুট বিমানবন্দরে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মহিলা সিঙ্গাপুরে থাকেন। তাঁর তিন বছরের এবং সাত মাসের দুটি শিশু রয়েছে। ওই দিন তিনি একাই প্যারিস যাচ্ছিলেন। দুই শিশু সিঙ্গাপুরে পরিবারের কাছে থেকে গিয়েছিল। তিনি জানান, ফ্রাঙ্কফ্রুট বিমানবন্দরে তাঁর প্রায় সমস্ত চেকিং হয়ে গিয়েছিল। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ব্যাগ এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর প্রতি ব্যবহার বদলে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। এক্স-রে মেশিনেই ধরা পড়ে যে অন্যান্য মালপত্রের সঙ্গে ব্যাগে একটি ব্রেস্ট পাম্পও রয়েছে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা জানতে চান ব্রেস্ট পাম্প কীসের জন্য তিনি রেখেছেন। ওই মহিলা তাঁর শিশুদের কথা জানিয়ে বলেন যে, তাঁর এখন ব্রেস্ট পাম্পের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি সেটা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: মেয়ের ছবি তোলার পর দেখে আঁতকে উঠলেন মা!
তবে এ বিষয়ে জার্মান ফেডেরাল পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। জার্মান ফেডেরাল পুলিশের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান অলটেনহফেন জানান, তদন্তের স্বার্থেই এটা গোপন রাখা হচ্ছে।