সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনের জট ছাড়াতে এ বার তদন্তকারীদের নজর হোয়াটসঅ্যাপেও। আজ এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম খাশোগির ৪০০টি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে একটা খবর করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই যাবতীয় বার্তা সৌদি আরব থেকে নির্বাসিত সমাজকর্মী আব্দুল আজিজকে পাঠানো। যাতে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে (এমবিএস) বহু বার ‘পশু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন খাশোগি। আর বলেছিলেন, ‘‘লোকটাকে হাড়ে-হাড়ে চিনি। এমবিএস দানবের মতো। ওর অফুরন্ত খিদে। কেউ বাধা দিলেই তাঁকে নির্দ্বিধায় সরিয়ে ফেলে। তা তিনি যত ঘনিষ্ঠই হোন না কেন!’’
২০১৭-র অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অগস্ট পর্যন্ত দু’জনের মধ্যে বার্তা চালাচালি হয়েছিল। বছর সাতাশের আজিজও সৌদি রাজ পরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তাঁকে খাশোগি কিছু ভয়েস রেকর্ডিং, ভিডিয়োও পাঠিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, দু’জনে মিলে একটা অনলাইন প্লাটফর্ম খুলতে চেয়েছিলেন। যাতে সৌদি রাজ পরিবারের রক্ষচক্ষুকে ভয় না পেয়ে নির্বাসিতদের রিয়াধে ফেরানো যায়।
কিন্তু অগস্টের পরে আর কোনও বার্তা নেই কেন? আজিজ জানিয়েছেন, তাঁদের ফোনে যে আড়ি পাতা হচ্ছে সেটা দু’জনেই বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। তার পর ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খুন হন খাশোগি। তা হলে কি আজিজও ‘হিট লিস্ট’-এ ছিলেন? প্রশ্নটা উঠছেই। একই সঙ্গে খাশোগি খুনে যুবরাজের জড়িত থাকার তত্ত্বও আরও জোরালো হল বলে মনে করছেন একাংশ।’’