আমেরিকা-ইরান পারদ চড়ছে।
তেহরানের উপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির এক মাসের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও বিদেশের মাটিতে সামরিক অভিযানের জন্য ৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ করল ইরানের পার্লামেন্ট। রবিবার ইরান পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়। দেশের ২৪৪ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২৪০ জনই এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে ভোট দেন। বিলটি পাশ হওয়ার পরে আইনপ্রণেতারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে টেবিল চাপড়াতে থাকেন।
এই বিলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ২৬ কোটি ডলার এবং বিদেশের মাটিতে ‘ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড’-এর সামরিক অভিযানের জন্য আরও ২৬ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। মূলত ইরাক ও সিরিয়াতে সামরিক অভিযান চালায় এই ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড’। পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারজানির কথায়, ‘‘আমেরিকার জানা উচিত যে, এটা সবে শুরু। মার্কিন সন্ত্রাস রুখতে ও এই অঞ্চলে তাদের হঠকারী পদক্ষেপ থামাতে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করব।’’
২০১৫ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া ও জার্মানি— এই ছ’টি দেশের জোট ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসলে ইরানের উপর বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রপুঞ্জের জারি করা নিষেধাজ্ঞা কমানো হবে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই এই চুক্তি সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব দেখিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি বাতিল না করলেও জুলাই মাসে ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নতুন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। ইরান তখনই হুমকি দিয়েছিল, আমেরিকার এই ‘চুক্তিভঙ্গে’র জবাব দেবে তারা।
আজ সামরিক খাতে এই বিপুল বাজেট-বরাদ্দ সংক্রান্ত বিলটি পাশ হওয়ার পরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘‘এই বিলটি খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে লেখা হয়েছে। কোথাও ২০১৫-র আন্তর্জাতিক চুক্তি ভাঙা হয়নি। অন্য পক্ষ যে আমাদের হুমকি দেবে, সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’’