পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর খবর সম্প্রচার করল ইরানের সরকারি রেডিও সংস্থা। রেডিও ইরান জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরাকে বিমান হামলায় গুরুতর আহত বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে।
যদিও আজ রাত পর্যন্ত বাগদাদির মৃত্যুর খবর নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন সেনাবাহিনীর কোনও আধিকারিক এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। উচ্চবাচ্য করেনি সিরিয়া বা ইরাকের প্রশাসনও। এমনকী, সংগঠনের শীর্ষ নেতার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরেও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য বা বিবৃতি দেয়নি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। তবে রেডিও ইরানে সম্প্রচারিত খবর উদ্ধৃত করে আজ দিনভর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদ সংস্থা বাগদাদির মৃত্যুর খবর সম্প্রচার করেছে। রেডিও ইরানের বিবৃতি ধরে বাগদাদির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া রেডিও। তবে গোয়েন্দারা এখনও এই ঘটনা নিয়ে নিশ্চিত করে কোনও খবর দিতে পারেননি।
যদিও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরাকেই বিমান হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন বাগদাদি। তার পর থেকে আইএস-এর অভিযানে মুখ্য ভূমিকাও নিচ্ছেন না বাগদাদি। জঙ্গিনেতার আহত হওয়ার খবর প্রকাশের পরেই মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে এ-ও জানানো হয়েছে যে, বাগদাদি সুস্থই রয়েছেন। তার পরেই আজ ফের নতুন করে তাঁর মৃত্যু নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
যদিও গোয়েন্দারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাগদাদির মৃত্যু যদি হয়েও থাকে, তা হলেও আইএস-এর নাশকতায় তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন না তাঁরা। গত সপ্তাহেই পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, গত মাসে ইরাকে মার্কিন বিমান যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে কোনও ভাবেই আক্রান্ত হননি বাগদাদি। সে বার মার্কিন বিমানের হামলার বাগদাদির আক্রান্ত হওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যম একই খবর বার বার বিভিন্ন মোড়কে প্রকাশ করছে!
গত বছর নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে ইরাকে লাগাতার মার্কিন বিমানের হামলা চলার সময়ে বাগদাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছিল বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা। জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও ওই খবর প্রকাশের পর পরই বাগদাদির কণ্ঠে রেকর্ড করা একটি অডিও বার্তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। তাতেই মনে করা হয়েছিল, নিরাপদেই রয়েছেন বাগদাদি।