সিরিয়ায় মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে ইজরায়েল ও ইরান। ছবি: এএফপি।
ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
প্রথম বারের জন্য সিরিয়ায় মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে ইজরায়েল ও ইরান। শনিবারই কয়েকটি বিশেষ ঘাঁটি লক্ষ করে বিমান হানা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তাতে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রবিবার দাবি করেছে একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দল। তবে ওই হামলা চালিয়ে ফেরার পথে বিমান-বিধ্বংসী গোলার আঘাতে ভেঙে পড়েছে ইজরায়েলের একটি এফ-১৬ বিমান। পাইলট প্যারাশ্যুট নিয়ে ঝাঁপিয়ে বেঁচেছেন। ইজরায়েলি বিমানের উপরে এই হানার খবর যদি নিশ্চিত হয়, তা হলে ১৯৮২ সালের পরে এই প্রথম শত্রুপক্ষ ঘায়েল করল ইজরায়েলি বিমানকে। এক বিবৃতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘আজকের এই যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য আদতে দায়ী ইরান এবং পরোক্ষে সিরিয়া।’’ তার হুঁশিয়ারি, ইজরায়েল তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা অটুট রাখার জন্য যত দূর যাওয়া দরকার, যাবে।
ইজরায়েলের দাবি, সিরিয়ার দিক থেকে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল ইরানের ড্রোন। সিরিয়ার পালমাইরা শহরের কাছে একটি বিমানঘাঁটি থেকে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। যদিও সেই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ইরান। সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তারা বলেছে, ইজরায়েলের আকাশে কোনও বিমান বা ড্রোন পাঠানো হয়নি।
ইজরায়েলের দাবি, ইরানের ড্রোনটি যেখান থেকে ওড়ানো হচ্ছিল, সেই বিমানঘাঁটি-সহ সিরিয়ার মোট ১২টি জায়গা লক্ষ করে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৮টি ঘাঁটি সিরিয়ার, ৪টি ইরানের। সিরিয়ার পর্যবেক্ষক দলটি জানিয়েছে, ওই হামলায় বাশার আল-আসাদ সরকারের ৬ সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও অন্য একটি পর্যবেক্ষক দলের দাবি, কেবল সেনাই নয়, হামলায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশু-সহ স্থানীয় নাগরিকেরও। জখম বেশ কয়েক জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।