Israel-Hamas Conflict

দ্রুত বন্দি ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভে অনড় ইজ়রায়েলিরা

মঙ্গলবার এক হাজারেরও বেশি ইজ়রায়েলি পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজ়রায়েলের গাজ়া ভূখণ্ড-সংলগ্ন এলাকায় হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। নিহত হন অন্তত ১১৩৯ ইজ়রায়েলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেল আভিভ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২০
Share:

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স।

দীর্ঘ ছ’মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি ইজ়রায়েলি। জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন শতাধিক। কিন্তু তাঁদের মুক্তি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। এই আবহে সপ্তাহান্তে বিক্ষোভের বদলে এখন টানা বিক্ষোভে নেমেছেন দেশবাসী। বিক্ষোভের চতুর্থ দিনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবার।

Advertisement

মঙ্গলবার এক হাজারেরও বেশি ইজ়রায়েলি পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজ়রায়েলের গাজ়া ভূখণ্ড-সংলগ্ন এলাকায় হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। নিহত হন অন্তত ১১৩৯ ইজ়রায়েলি। তা ছাড়া, ২৪০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পাল্টা হিসেবে পরের দিনই গাজ়া আক্রমণ করে ইজ়রায়েল। তখন থেকে যুদ্ধ চলছে। মঙ্গলবারের বিক্ষোভ-সমাবেশে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এউদ বারাক ৭ অক্টোবরের ঘটনাকে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। বারাকের দাবি, অত্যাধুনিক সামরিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ৭ অক্টোবর নেতানিয়াহু সরকার সব রকম ভাবে প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে ব্যাহত হয়।

হামাসের হাতে এখনও ১৩৪ জন ইজ়রায়েলি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু-ই এখন বন্দি বিনিময় চুক্তিকে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হামাসের হাতে বন্দি আইনভ জ়ানগাউকারের ছেলে মাতান মিশরের ‘অত্যাচারী ফারাও’-এর সঙ্গে নেতানিয়াহুর তুলনা করেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন মেরাভ সেভারস্কির মা-বাবা। তাঁর ভাইকে হামাস বাহিনী অপহরণ করে পরে খুন করে। মেরাভের কথায়, ‘‘বন্দিদের নিয়ে কোনও উদ্বেগই নেই নেতানিয়াহু সরকারের।’’ তিনি আরও বলেন, “সরকারের প্রধান কর্তব্য বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনা। আমি বোকা ছিলাম, তাই বুঝতে পারিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী নন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন