শনিবার ইজ়রায়েলের তেল আভিভে বিক্ষোভের ছবি। ছবি: পিটিআই।
দীর্ঘ দিন ধরে গাজ়ায় বন্দি রয়েছেন প্রিয়জনেরা। যুদ্ধ বন্ধ হওয়ারও নাম নেই। তাই এ বার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে জ়েরুসালেমের পথে নামলেন ইজ়রায়েলিরাই। দাবি, গাজ়ায় যুদ্ধ বন্ধ হোক। ফিরিয়ে আনা হোক বন্দিদের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজ়ায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে নেতানিয়াহু সরকারের উপর ‘অভ্যন্তরীণ চাপ’ বাড়ছে ইজ়রায়েলে। ইতিমধ্যে দেশব্যাপী বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। আয়োজকদের মতে, সারা দেশে ৩০০টিরও বেশি স্থানে এই বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। কয়েক লক্ষ ইজ়রায়েলি এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ইজ়রায়েলের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সংস্থাও রবিবারের এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে।
তবে এত কিছুর পরেও টলছেন না নেতানিয়াহু। গত মে মাস থেকে গাজ়ার ত্রাণশিবিরগুলিতেও ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনা। তাতে এখনও পর্যন্ত ১৩০০-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। চলতি মাসের শুরু থেকে গাজ়া দখলের জন্য আরও বদ্ধপরিকর হয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজ়াকে হামাসমুক্ত করার উদ্দেশ্যে পাঁচ দফা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজ়ার সীমান্ত পুনর্বিন্যাস, হামাস এবং প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের বিকল্প প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি বিষয়ও রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, এমনিতেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার হামলা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজ়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬১,০০০-এরও বেশি মানুষের। বেসরকারি হিসাবে সংখ্যাটা আরও বেশি। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের দাবি, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ৮০ শতাংশ ইজ়রায়েলি গাজ়ায় আটক ইজ়রায়েলিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন।