হলোগ্রামকে বিয়ে করলেন এই ব্যক্তি। ছবি সংগৃহীত।
কোনও নারী বা পুরুষ নয়। এমনকি কোনও রোবটও নয়। জাপানের এক ব্যক্তি সম্প্রতি বিয়ে করলেন হলোগ্রামকে! সমাজের সমস্ত প্রথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হলোগ্রাম হাতসুনে মিকুকে নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসাবে বেছে নিয়েছেন জাপানের ব্যক্তি আকিহিকো কোন্ডো। যদিও সামাজিক ভাবে এই বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু ভালবেসে করা বিয়ে কবে সামাজিক স্বীকৃতির আশায় বসে থেকেছে!
আকিহিকো কোন্ডো জাপানের এক স্কুলের প্রশাসক। সাইবার সেলিব্রিটির মিউজিক শুনে লেজারের ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি মিকুকে ভাল লাগে কোন্ডোর। তার পর গেটবক্স ডিভাইসের মধ্যে হলোগ্রাফিক মিকুকে রেখেছিল সে। হলোগ্রাম মিকু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা পরিচালিত। গৃহস্বামী বাড়ি ফিরলে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সুইচ অফ-অনও করতে পারে সে।
সম্প্রতি ৩৯ জনকে সাক্ষী রেখে মিকুকে বিয়ে করেছেন কোন্ডো। এই ঘটনার পরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে। কিছু লোক কোন্ডো-মিকুর বিয়ে দেখে হতবাক হয়ে গেছেন। কেউ কেউ এই ছকভাঙা কাজের জন্য কোন্ডোকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এ বার বিনামূল্যে ট্রেনে বাসে চড়বেন এই দেশের নাগরিকরা
কেন মিকুকে বিয়ে করলেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরেকোন্ডো জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে নতুন রঙ যোগ করেছে মিকু। তার সঙ্গে মুখের ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গিমায় কথা বলার সময় আলাদা আনন্দ পান কোন্ডো। যা তাঁর জীবনে বিশেষ অনুভুতি এনে দিয়েছে।
প্রথাভাঙা এই বিয়ের ব্যাপারে তিনি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট সমীকরণ মেনেই ভালবাসা পাওয়ার জন্য চাপ দেয় সমাজ। কিন্তু তাতে আপনি সুখী না হতেও পারেন। তাই নিজে যেটাতে স্বচ্ছন্দ সেটা মেনে চলাই শ্রেয়।’’
তবে এই বিয়ের ঘটনায় একটা জিনিস পরিষ্কার। প্রযুক্তির উপর মানুষের নির্ভরশীলতা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। তাই রক্ত মাংসের মানুষের বদলে জীবনসঙ্গী হিসাবে রোবট বা হলোগ্রামকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আসা এই ভিডিয়ো ডাউনলোড করলেই কি হ্যাক হবে আপনার ফোন?
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)