জামাল খাশোগি
নিজেকে ‘বিরোধী’ বলতে নারাজ ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তবে তিনি চেয়েছিলেন, সংস্কার হোক সৌদি আরবের। ‘একনায়কের শাসন’ থেকে মুক্তি পাক তাঁর জন্মভূমি। ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার দিন কয়েক আগে এক মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সৌদি রাজ পরিবারকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন খাশোগি। আজ রিয়াধ মুখ খোলার পরেই তা সাক্ষাৎকার হিসেবে প্রকাশ করল ওই মার্কিন সাপ্তাহিকী।
‘রাজরোষের জেরে’ জামাল আমেরিকাতেই স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছিলেন। তিনি কাজও করতেন প্রথম সারির এক মার্কিন দৈনিকে। কিন্তু তিনি যে শেকড় ভোলেননি, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল তাঁর শেষ সাক্ষাৎকারে। যথারীতি এখানেও তিনি ভয়ডরহীন, স্পষ্টবক্তা। সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘‘যুবরাজ কেমন?’’ উত্তরে খাশোগি বলেছিলেন, ‘‘ঠিক যেন প্রাচীন আমলের কোনও উপজাতি নেতা। সিলিকন ভ্যালি থেকে হাল আমলের সিনেমা— প্রথম বিশ্বের সব সুবিধা লুটেপুটে নেবেন, অথচ নিজের দেশটাকে কিছুতেই এগোতে দেবেন না। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও যুবরাজ সৌদি আরবকে নিজের ঠাকুর্দার মতোই শাসন করতে চান।’’ যথাযথ পরামর্শদাতার অভাবেই মহম্মদ বিন সলমনের এই হাল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তা হলে কি তিনি ক্ষমতার রদবদল চেয়েছিলেন? এমনটা যে অসম্ভব এবং ঝুঁকিবহুল, তা মেনে নিয়েই খাশোগি জানিয়েছিলেন, তিনি শুধু চান দেশের হাল ফিরুক। কিন্তু কী ভাবে? খাশোগির কথায়, ‘‘যে দিন যুবরাজ মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করা শুরু করবেন, সে দিন থেকে সংস্কার শুরু হবে সৌদি আরবের।’’