কানাডার পরে এ বার মাথাব্যথা ব্রিটেন।
ঋণখেলাপি বিজয় মাল্যের প্রত্যর্পণ নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। এরই মধ্যে আবার ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়াতে চলেছে ১২ অগস্ট লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে খলিস্তানিদের প্রস্তাবিত সমাবেশ। ভারতের তরফে বারংবার ওই সমাবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য ব্রিটেনের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও, এখনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। বরং লন্ডনের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র প্রশাসন।
পঞ্জাবের ‘স্বাধীনতা’ চেয়ে ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) নামের একটি সংগঠন ১২ তারিখ প্রতীকী গণভোট করতে চলেছে। সঙ্গে সভা। সে জন্য আমেরিকা, কানাডা থেকেও লোক জোগাড় করা হচ্ছে বলে খবর।
ভারতের তরফে এ নিয়ে দু’বার ডিমার্শে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বিজয়কুমার সিংহ বলেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক এবং লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন আলাদা ভাবে ব্রিটিশ সরকারকে নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, এই ধরনের জমায়েতে যেন অনুমতি না দেওয়া হয়।’’ তবে লন্ডন কী উত্তর দিয়েছে, তা জানাননি মন্ত্রী।
এখনও সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়নি। বরং জোরদার প্রস্তুতি চলছে। এসএফজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। পাল্টা ভারতও চাইছে খলিস্তানি ‘জঙ্গিদের’ দমিয়ে রাখতে। কিন্তু খলিস্তান-পন্থীদের ‘জঙ্গি’ তকমা দেওয়াটা কানাডার পছন্দ নয়। এ নিয়ে দু’দেশের তিক্ততা স্পষ্ট হয়ে যায় ফেব্রুয়ারিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফরে। নরেন্দ্র মোদী কেন তাঁকে প্রাথমিক ভাবে উপেক্ষা করেছিলেন, সেই প্রশ্নও তোলে কানাডা। পরে ট্রুডোকে জড়িয়ে ধরেও বরফ গলাতে পারেননি মোদী।
আরও পড়ুন: দারুণ গরম চোখ রাঙাচ্ছে ইউরোপে
কানাডার শিখ সংগঠন স্পষ্ট বার্তা দেয়, ‘‘কানাডার শিখদের ভারত বদনাম করতে চাইছে।’’ এ বার লন্ডন থেকেও তেমনই চ্যালেঞ্জ উঠে আসতে পারে বলে অনুমান নয়াদিল্লির। ব্রিটেন জানিয়েছে, সমাবেশে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। তবু আশঙ্কা থাকছেই।
আশঙ্কা বার্মিংহামে ‘আশ্রিত’ পরমজিৎ সিংহ পম্মাকে ঘিরে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ২০১০-এ পঞ্জাবের পাতিয়ালা এবং অম্বালায় জো়ড়া বিস্ফোরণ মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ এই পরমজিৎই প্রস্তাবিত সমাবেশের হোতা। আগামী রবিবার ট্রাফালগারে লন্ডন ও শহরতলি থেকে ১০ হাজারেরও বেশি শিখের জমায়েত হবে বলে দাবি করেছে সে।