তাদের মনে বড় কষ্ট! অথচ কেউই সে কথা শুনতে চায় না। কিন্তু তা বলে তো হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। বড়রা যখন শুনবেই না, তখন খুদে প্রিন্স জর্জকেই চিঠি লিখে নিজেদের খেদের কথা জানিয়েছিল ব্রিটেনের উইল্টশায়ারের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। নতুন ছাত্রের অভাবে তাদের স্কুল বন্ধ হতে বসেছে। জর্জ যেন এমনটা হতে না দেয় এই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিল তারা। যার উত্তর দিয়েছিলেন জর্জের মা-বাবা কেট ও উইলিয়াম। আর তাতেই কেল্লাফতে! এ খবর চাউর হতেই ছাত্রভর্তির হার এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে আপাতত আর স্কুলবন্ধের কথা ভাবছেন না কর্তৃপক্ষ।
অথচ কিছু দিন আগেও ছবিটা এ রকম ছিল না। ‘শার্টন ভিলেজ স্কুল’-এর পড়ুয়ারা কেমন যেন সব সময় মনমরা হয়ে থাকত। তাদের ছবির মতো সুন্দর স্কুলও তখন নিষ্প্রাণ। সকলেরই মধ্যে দুশ্চিন্তা, এই বুঝি বন্ধ হল স্কুল। শেষমেশ সাত থেকে এগারো বছরের ১১ জন পড়ুয়া চিঠি লিখল রাজপরিবারের খুদে সদস্যকে। তাদের স্কুল ঠিক কতটা সুন্দর সে কথা বর্ণনা করে উইলিয়াম এবং কেটকে তারা অনুরোধ জানায়, জর্জকেও যেন তাদের স্কুলেই ভর্তি করেন ‘ডিউক ও ডাচেস অব কেমব্রিজ’। চিঠি পড়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন কেট-উইলিয়াম। লেখকদের প্রত্যেককে আলাদা করে উত্তর দেন তাঁরা। জর্জের সঙ্গে তাঁদের ছবিও পৌঁছে যায় লেখকদের ঠিকানায়। ব্যস্! এ খবর চাউর হতেই ছাত্রভর্তির হার বাড়তে শুরু করে। ২০১২ সালে যেখানে মাত্র উনিশ জন পড়ুয়া ছিল, সেখানে এখন ছাত্রসংখ্যা ৪৫। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন যা ছাত্রসংখ্যা তাতে আর স্কুল বন্ধ করতে হবে না। সবই ‘রাজমহিমা’, মানছেন স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষিকা অ্যামি বেক্কের রেঞ্চ।
পড়ুয়ারা অবশ্য অতশত বোঝে না। তারা শুধু জানে, তাদের দুঃখে শেষমেশ এক খুদেই পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তা সে যতই চিঠি পাঠান কেট-উইলিয়াম, আপাতত জর্জই পড়ুয়াদের নায়ক, ত্রাতা।