পুলিশের গাড়ি নয়, বাসে ক্যাম্পাসে যান মৈনাক?

হদিস মিলল মৈনাক সরকারের গাড়ির। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসের খুব কাছে নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৬ ০৩:২৪
Share:

স্ত্রী অ্যাশলের সঙ্গে মৈনাক। ছবি ফেসবুক থেকে।

হদিস মিলল মৈনাক সরকারের গাড়ির। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসের খুব কাছে নয়। আর তা দেখে পুলিশের এখন সন্দেহ, গাড়ি করে নয়, বরং বাসে করে ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্পাসে পৌঁছেছিলেন মৈনাক। গত বুধবার পিএইচডি-র গাইড অধ্যাপক ক্লুগের অফিসে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন আইআইটির এই কৃতী প্রাক্তনী। তার পরেই আত্মঘাতী হন। স্ত্রী অ্যাশলে হাসতির খুনেও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই তাঁর নাম।

Advertisement

দু’দিন ধরেই পুলিশ খোঁজ করছিল মৈনাক সরকারের গাড়ির। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, এই গাড়ি চালিয়েই মিনেসোটা থেকে প্রায় ৩২০০ কিমি দূরে ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্পাসে তিনি এসেছিলেন। সেই গাড়ির সন্ধানে সাধারণ মানুষের সাহায্যও চেয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ। গত কাল ওয়েস্টসাইডের এক জনবসতি এলাকায় মিনেসোটার লাইসেন্স প্লেট লাগানো ধূসর রঙের একটি গাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই গাড়িটি মৈনাকেরই। যে এলাকায় গাড়িটি পাওয়া গিয়েছে, মৈনাক আগে সেখানেই থাকতেন বলে খবর। ক্যাম্পাসে হামলার এক দিন আগে ওই গাড়িটিকে ডেনভারে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত কাল গাড়িটির খবর প্রথম পুলিশকে জানায় পথচলতি এক সাইকেল আরোহী। গাড়ির ভিতরে বিস্ফোরক পদার্থ থাকতে পারার আশঙ্কায় আগেই ডাকা হয় বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী দলকে। পুলিশ জানায়, গাড়ির ভিতরে কোনও বিস্ফোরক ছিল না। তবে গাড়ির ডিকিতে পাওয়া গিয়েছে একটি হ্যান্ডগান ও বেশ কয়েকটি পেট্রোলের ক্যান। পুলিশের দাবি, মিনেসোটা থেকে এতটা পথ আসতে যাতে রাস্তায় তেল ভরতে না হয়, সেই জন্যই হয়তো অতগুলো তেলের ক্যান গাড়িতে রেখেছিলেন মৈনাক।

অধ্যাপক ক্লুগের বিরুদ্ধে তাঁর কম্পিউটারের ‘কোড চুরির’ অভিযোগ এনেছিলেন মৈনাক। তবে স্ত্রী অ্যাশলে হাসতিকে কেন খুন করলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়েছে। স্ত্রী অ্যাশলেকে খুন করেই কি ক্যালিফোর্নিয়ার পথে রওনা দিয়েছিলেন মৈনাক? নিশ্চিত করে বলা না গেলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ তেমনটাই। সেই সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে অ্যাশলের বাড়ির ভাঙা জানলা। পুলিশের আশঙ্কা, বাড়ির জানলা ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢুকেছিলেন মৈনাক।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অধ্যাপক ক্লুগ ও আর এক অধ্যাপকের উপর মৈনাকের রাগ অনেক দিনেরই। ওই দুই অধ্যাপক সে সম্পর্কে জানতেনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক মাস ধরেই ক্লুগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন মৈনাক। তার পরে ১০ মার্চের লেখা সেই ব্লগ। যেখানে ক্লুগের থেকে ইউসিএলএর পড়ুয়াদের দূরে থাকতে বলেন তিনি। তবে এই কয়েক মাসে কি এমন হল যার জন্য চরম পথ বেছে নিলেন মৈনাক? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে আলাদা করে কোনও প্ররোচনা ছিল না বলে মন্তব্য করেন লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হেয়াস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন