মলদ্বীপে মোদী, সাগরে নজরে এগোল ভারত

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখার প্রশ্নে আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বিদেশ সফর আজ শুরু হল মলদ্বীপে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি তাঁর মতোই ক্রিকেটপ্রেমী, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার মলদ্বীপ পৌঁছে সোলিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সই করা একটি স্মারক ব্যাট উপহার দিলেন তিনি। ছবিটি টুইটারে মোদী নিজেই শেয়ার করেছেন।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখার প্রশ্নে আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বিদেশ সফর আজ শুরু হল মলদ্বীপে। আর প্রথম দিনই দীর্ঘকাল ধরে ঝুলে থাকা ‘কোস্টাল সার্ভিলেন্স রেডার সিস্টেম’-এর উদ্বোধন করলেন মোদী এবং সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি। ‘ভারত ইলেকট্রনিক্স’-এর তৈরি এই রেডারগুলি গত বছরেই বসানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মলদ্বীপের এর আগের চিনপন্থী সরকার সেগুলিকে চালু করতে দেয়নি। নভেম্বরে সোলি আসার পর ফের এই কাজ শুরু হয়।
আজ এটির পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। তার মধ্যে রয়েছে দু’দেশের নৌ চলাচল এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় চুক্তি, জলবিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি, প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সমঝোতা চুক্তির মতো বিষয়গুলি।
কিন্তু কূটনীতিকরা বলছেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অত্যন্ত সুবিধাজনক পকেটে এই রেডার সফল ভাবে বসাতে পারার বিষয়টি চিনকে চাপে রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ (স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেট) হয়ে থাকল। মোট দশটি রেডার তৈরি করে বসানো হয়েছে। বিদেশসচিব বিজয় গোখলের কথায়, ‘‘ভারত মহাসাগরে এই দ্বীপরাষ্ট্রের একটি নিজস্ব অর্থনৈতিক ক্ষেত্র রয়েছে। সেটির নিরাপত্তার জন্য ওই রেডার সিস্টেম কাজ করবে।’’ সূত্রের বক্তব্য, শুধু মলদ্বীপের উপকারের জন্য নয়, সমুদ্রপথে নজরদারি বাড়াতেই মলদ্বীপের জমিকে কাজে লাগালো ভারত। দু’বছর আগে এই এলাকায় চিনা সামরিক সাবমেরিন ঢুকে পড়েছিল। বেজিং-এর সঙ্গে ডোকলাম সংঘাত চলার সময় ৭টি সাবমেরিন এবং সমরসজ্জায় সজ্জিত ১৪টি যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে ঢুকে পড়ার অনেক পরে টের পায় সাউথ ব্লক।
প্রশ্ন উঠছে, এই রেডার বসানোর পরে অদূর ভবিষ্যতে যদি চিনপন্থী সরকার মলদ্বীপে আসে, তা হলে এই ব্যবস্থা ভারতের কাছে বুমেরাং হয়ে উঠবে না তো? বিশেষজ্ঞদের জবাব, আদৌ নয়। এগুলি বানিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং এগুলির দূর নিয়ন্ত্রণ থাকবে পুরোপুরি ভারতের হাতেই। কোনও সঙ্কট তৈরি হলে ভারত একক ভাবে এগুলির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে, এই কথাও চুক্তিতে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন