গির্জায় নয়, কলেজে হামলা চালাতে চেয়েছিল ডিলান

হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা আগেই বন্ধুদের জানিয়েছিল ডিলান রুফ। বলেছিল, দক্ষিণ ক্যারোলাইনার চার্লসটন কলেজের ক্যাম্পাসে হানা দিতে চায়। তবে কলেজে ঢুকতে যে নিরাপত্তাজনিত কিছু সমস্যা হতে পারে তা-ও জানিয়েছিল সে। সব দিক খতিয়ে দেখে তাই কলেজের পরিবর্তে ঐতিহাসিক আফ্রো-আমেরিকান গির্জায় বন্দুক নিয়ে হামলা করে ২১ বছরের ডিলান। বর্ণবিদ্বেষী ওই যুবকের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন ৯ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৫ ০৩:৪০
Share:

ডিলান রুফ

হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা আগেই বন্ধুদের জানিয়েছিল ডিলান রুফ। বলেছিল, দক্ষিণ ক্যারোলাইনার চার্লসটন কলেজের ক্যাম্পাসে হানা দিতে চায়। তবে কলেজে ঢুকতে যে নিরাপত্তাজনিত কিছু সমস্যা হতে পারে তা-ও জানিয়েছিল সে। সব দিক খতিয়ে দেখে তাই কলেজের পরিবর্তে ঐতিহাসিক আফ্রো-আমেরিকান গির্জায় বন্দুক নিয়ে হামলা করে ২১ বছরের ডিলান। বর্ণবিদ্বেষী ওই যুবকের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন ৯ জন।

Advertisement

ডিলানের প্রতিবেশী এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ক্রিস্টন স্ক্রিভেন পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তাঁর সঙ্গে গল্প করতে করতে ডিলান কলেজে হামলা চালানোর কথা বলেছিল। তবে তার কথায় গুরুত্বই দেননি ক্রিস্টন। নেহাত ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ডিলান যে সত্যিই এমন করতে পারে ভাবতে পারেননি তিনি। এ দিকে, দক্ষিণ ক্যারোলাইনার পুলিশ আজ জানিয়েছে, গির্জায় হামলায় নিহতদের মধ্যে ৬ জন মহিলা রয়েছেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, গুলি চালানোর আগে গির্জার আসনে প্রায় এক ঘণ্টা চুপ করে বসেছিল ডিলান। জেরায় সে কবুল করেছে, গির্জার সকলে তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছিল বলে হামলা চালাতে সময় লাগছিল তার। তবে সে জন্য ‘মিশন’ পণ্ড করতে চায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময়েও সে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে এবং জানিয়েছে, শ্বেতাঙ্গদের পক্ষে লড়াই করতে চেয়েছিল। ডিলানের পরিবার আজ তাঁরা জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাঁরা বিধ্বস্ত। টিভিতে গির্জায় হামলার খবর দেখে ডিলানকে চিনতে পেরেছিলেন তার দিদি অ্যাম্বর। তিনি ফোনও করেছিলেন পুলিশকে।

গত কাল ডিলানকে আদালতে সশরীর হাজির করানো হয়নি। জেল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতকক্ষে পৌঁছে দেওয়া হয় ডিলানকে। সেখানেই নিহত ন’জনের পরিবারের লোকজনের মুখোমুখি হয় ডিলান। তবে বিশেষ কথা বলেনি সে। জবাবও দেয়নি প্রশ্নের। সারাটা সময় ভাবলেশহীন মুখে দাঁড়িয়ে ছিল ক্যামেরার সামনে। গির্জায় নিহত ২৫ বছরের তাওয়ান্জা স্যান্ডার্সের মা ফেলিসিয়া স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘ঈশ্বর তোমায় ক্ষমা করুন। আমার দেখা সব চেয়ে সুন্দর কিছু মানুষকে তুমি মেরে ফেলেছ।’’

Advertisement

আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনার নিন্দা করে প্রশ্ন তুলেছিলেন অস্ত্র আইনের ফাঁক নিয়ে। বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেন, এখন অস্ত্র আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজনীতি করছেন ওবামা। তবে শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকোয় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, চার্লসটনের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমেরিকায় এখনও বর্ণবিদ্বেষ রয়েছে। বিরোধীদের বিদ্রুপ করে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিশ্বের উন্নত কোনও দেশে এমন মারাত্মক ঘটনা, এত ঘন ঘন ঘটে কী?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন