প্রতীকী ছবি।
একটা চাকরির বড়ই দরকার ছিল ২১ বছরের কার্লোস দুয়ার্তের। কিন্তু চাকরি পেতে হলে তো দরখাস্তের সঙ্গে পাঠাতে হবে নিজের বায়োডেটাও। আর সেটা কম্পোজ করাতে হবে। তার প্রিন্ট আউটও নিতে হবে। যার জন্য লাগবে অর্থ। সেটাই তো পকেটে নেই কার্লোসের।
তাই হাতে লিখেই আঁকাবাঁকা অক্ষরে নিজের বায়োডেটা লিখে ই-মেলে নানা জায়গায় পাঠাতে শুরু করলেন ওই আর্জেন্তিনীয় যুবক। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই বয়ে গেল সহানুভূতির বন্যা। একটা চাকরিও জুটে গেল কার্লোসের।
ব্রিটেনের ‘ডেলিমেল’ নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, কার্লোসের একটি ফেসবুক পোস্ট প্রথম চোখে পড়ে এক মহিলার। তাঁর নাম ইউজেনিয়া লোপেজ। কাজ করেন আর্জেন্টিনার কর্ডোবায় একটি ক্যাফেতে। কার্লোসের ঘটনাটি তিনি পোস্ট করেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। আর তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ইউজিন লোপেজের সেই ফেসবুক পোস্ট যা ভাইরাল হতেই চাকরি পেলেন কার্লোস
তাঁর ফেসবুক পোস্টে লোপেজ লিখেছিলেন, তিনি যেখানে কাজ করেন সেই ক্যাফেতে কোনও জায়গা খালি নেই চাকরির জন্য। তবে তাঁকে এক কপি বায়োডেটা পাঠিয়ে রাখতে বলেন কার্লোসকে। তাঁর কোনও চেনা-জানা লোককে কার্লোসের চাকরির জন্য বলবেন বলে আশ্বাস দেন লোপেজ। তখন কার্লোস তাঁকে জানায়, বায়োডেটা পাঠাতে গেলে তো কম্পোজ করাতে হবে, তার প্রিন্ট আউট নিতে হবে। কিন্তু তার জন্য অর্থ নেই কার্লোসের হাতে। তা শুনে লোপেজ তাঁকে বায়োডেটা হাতে লিখতে বলেন। তার পর তার ছবি তুলে পাঠাতে বলেন তাঁকে।
আরও পড়ুন- রানওয়েতে নামতে গিয়ে হ্রদে নেমে পড়ল যাত্রিবাহী বিমান! তারপর...
আরও পড়ুন- সন্ত্রাস দমনে আগে কিছু করুক পাকিস্তান, তার পর বৈঠক, রাষ্ট্রপুঞ্জে সুষমা
কার্লোসের সেই হাতে লেখা বায়োডেটাই ফেসবুকে পোস্ট করেন লোপেজ, গত ২১ সেপ্টেম্বর। সঙ্গে সঙ্গে বয়ে যায় সহানুভূতির বন্যা, সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্ট শেয়ার করেন ১০ হাজার মানুষ। পোস্টে মন্তব্য করেন ১৮ হাজার মানুষ।
এই সবের জেরে কার্লোস একটা চাকরি পেয়েছেন। খুব শিগগিরই তিনি যোগ দিচ্ছেন একটি কাচ কারখানার কাজে, জানাচ্ছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিনডটকম’।