Mirror Writing

শেষ থেকে শুরুর দিকে টাইপ! অভিনব কায়দায় ৮১টি বই লিখে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বৃদ্ধ

শেষ থেকে শুরুর দিকে একের পর এক লাইন টাইপ করে গিয়েছিলেন ৬৩ বছরের মাইকেল স্যানটেলিয়া। ইটালির বাসিন্দা তিনি। নিজের এই লেখার ধরনকে তিনি ‘আয়না লেখনি’ (মিরর রাইটিং) নামে অভিহিত করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রোম শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৫
Share:

শেষ থেকে শুরুর দিকে টাইপ করে বিশ্বরেকর্ড। ছবি: সংগৃহীত।

বই দেখে দেখে টাইপ করতে কে না পারেন। কম্পিউটারের কী বোর্ডে অক্ষর অনুযায়ী হাত চালালেই লেখা হয়ে যায় একের পর এক শব্দ। কিন্তু একই পদ্ধতিতে টাইপ যদি করতে হয় শেষ থেকে শুরুর দিকে? হিসাব গুলিয়ে যায় না কি?

Advertisement

গোলমেলে হিসাবেই শেষ থেকে শুরুর দিকে একের পর এক লাইন টাইপ করে গিয়েছিলেন ৬৩ বছরের মাইকেল স্যানটেলিয়া। ইটালির বাসিন্দা তিনি। নিজের এই লেখার ধরনকে তিনি ‘আয়না লেখনি’ বা ‘মিরর রাইটিং’ নামে অভিহিত করেছেন। মাইকেল জানিয়েছেন, বই দেখে দেখে শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত টাইপ করেছেন তিনি। এ ভাবেই লিখে ফেলেছেন মোট ৮১টি বই।

অভিনব এই লিখনশৈলীর জন্য বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন মাইকেল। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী, মাইকেল প্রথমে এই বইগুলি আয়নার সামনে রেখে লেখনির একটি করে উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে নিয়েছিলেন। তার পর তা দেখে দেখে টাইপ করেছেন।

Advertisement

কোনও একটি ভাষায় বই টাইপ করেননি মাইকেল। দেশবিদেশের একাধিক ভাষায় এই কাজ করেছেন। হায়ারোগ্লিফস থেকে শুরু করে প্রাচীন হিব্রু, চাইনিজ়, মায়ান, এট্রুসকান, কিউনিফর্ম— নানা ভাষায় উল্টো দিকে টাইপ করেছেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, দাবি, যে কী বোর্ডে এই বইগুলি টাইপ করা হয়েছে, তাতে কোনও অক্ষর লেখা ছিল না। কোন কী টাইপ করছেন, তা দেখতে পাননি মাইকেল। এমনকি, তিনি বই টাইপ করার সময় এক বারের জন্যও কী বোর্ডের দিকে তাকাননি। মাইকেল জানান, ইটালির বিশ্ববন্দিত শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আদর্শে তিনি অনুপ্রাণিত।

শেষ থেকে শুরুর দিকে একের পর এক লাইন টাইপ করেছেন বৃদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন