প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় চার জন ধরা পড়লে, দেখা যায় তার মধ্যে তিন জনেরই জন্ম বিদেশে— বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনটাই হিসেব দিল মার্কিন প্রশাসন।
সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই জোরদার পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন বিচার বিভাগ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এ দিন তাদের দেওয়া রিপোর্টে অবশ্য কোন দেশের কত জন সন্ত্রাসে জড়িত, তার আলাদা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ওই রিপোর্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে এক জনেরই নাম রয়েছে— খালিল আহমেদ। ২০১০-এ সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার অপরাধে আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তার।
অভিবাসন নিয়ে এমনিতেই কড়াকড়ি করছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি জানিয়েছেন, একমাত্র যোগ্যতার নিরিখেই মার্কিন মুলুকে থাকতে দেওয়া হবে। গ্রিন কার্ড পেয়ে যাওয়া কোনও এক জনের হাত ধরে পরিবারের বাকিদের আমেরিকায় চলে আসাও (চেন মাইগ্রেশন) আটকাতে তৎপর ট্রাম্প। আজও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষতা, প্রতিভা ও ইংরেজিতে কথা বলার ক্ষমতা দেখেই আমেরিকায় আসার অনুমতি দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা বলেন, ‘‘মার্কিন সমাজের উন্নতির জন্য যে ধরনের দক্ষ কর্মীর দরকার, সেই ভিত্তিতেই অভিবাসন দেওয়া হবে।’’ উদ্দেশ্য এক দিকে, পড়তে থাকা চাকরির বাজারে মার্কিন নাগরিকদের সুবিধা করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, দেশকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করা।
সন্ত্রাস নিয়ে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ’১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অন্তত ১৭১৬ জনকে আমেরিকা থেকে তাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই আমেরিকায় আসা ২৫৫৪ জনকে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে জেরা করা হয়েছে।