জন ভালভারদে। ছবি: সংগৃহীত।
সালটা ১৯৯১। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে এক ফোটোগ্রাফারকে গুলি করেছিলেন ২০ বছর বয়সী জন ভালভারদে। জনের প্রেমিকার অভিযোগ, ওই ফোটোগ্রাফার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। প্রেমিকার ধর্ষককে সামনে দেখে আর মাথা ঠিক রাখতে পারেননি জন। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন অভিযুক্তের শরীর। এর পর দীর্ঘ ষোলো বছর জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। জনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল ওই ঘটনা। কিন্তু, কাহিনির এখানেই শেষ নয়। পরিস্থিতির কাছে হার মেনে হারিয়ে যেতে চাননি জন। এখন তিনি ৪৫। অন্ধকার থেকে ফের আলোর দিকে ফিরে আসতে চান তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।
জেলে থাকলেও থেমে থাকেনি তাঁর ছাত্রজীবন। জেলে বসেই তিনি দু’টি ডিগ্রি অর্জন করেন। মার্সি কলেজ থেকে বিহেভিওরাল সায়েন্সে স্নাতক হয়েছেন। নিউইয়র্ক টেকনোলজি সেমিনারি থেকে আরবান মিনিস্ট্রি বিষয়েও স্নাতক। ২০০৮ সালে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেন জন। সেই জেলখাটা খুনিই আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আমায় বাঁচান, ফাদার টমের ভিডিও-আর্তি
গত সাত বছর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন জন। নিউ ইয়র্কের ওই সংস্থাটির হয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর সংস্থাটির নেটওয়ার্ক বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। অর্থের অভাবে যাঁরা পড়াশোনা করতে পারেননি সেই সমস্ত মানুষজনকে সাহায্য করাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য।
নিজের অতীত সম্পর্কে জন বলেন, ‘‘ আমি যা করেছি তা ভুল ছিল।’’ এখন তিনি বিশ্বাস করেন একটি প্রাণের ক্ষতিপূরণ দেওয়া কখনওই সম্ভব না। তাই তিনি নিজেকে বদলাতে চেয়েছেন।