Donald Trump

উঃ কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ‘শীঘ্রই’, কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন ট্রাম্প

কিন্তু, আদতে কী সব সমস্যার সমাধান হল?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিঙ্গাপুরে শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০৯:৩৫
Share:

করমর্দন দুই রাষ্ট্রনেতার। ছবি— পিটিআই।

সব জল্পনা, প্রতীক্ষার অবসান।

Advertisement

সোমবার সিঙ্গাপুরে মুখোমুখি বসলেন এই মুহূর্তে বিশ্বে সব থেকে আলোচিত দুই রাষ্ট্রপ্রধান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন

ঘণ্টাখানেক কথা হয় তাঁদের মধ্যে। শেষে তাঁরা যখন এক সঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এলেন, তখন যেন গোটা বিশ্বের ‘ফোকাস’ তাঁদের উপরই। করমর্দন করলেন তাঁরা। পরে ট্রাম্প বললেন, ‘‘বৈঠক খুব ভাল হয়েছে। সব সমালোচনা, অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক দারুণ।’’ আর কিমের সরল স্বীকারোক্তি, ‘‘আমরা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করব।’’ তবে এই দিনটা যে সহজে আসেনি, তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন কিম। সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে কিম বলেন, ‘‘অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু, আমরা সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে আজ এই আলোচনার টেবিলে বসেছি।’’

Advertisement

আর উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যে জল্পনা এত দিন চলছিল, সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের দাবি, ‘‘শীঘ্রই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ শুরু করবে উত্তর কোরিয়া।’’

সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় তখন সকাল ৯টা। ভারতীয় সময় সাড়ে ৬টা। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দক্ষিণের রিসর্ট-দ্বীপ সেন্টোসার ক্যাপিলা হোটেলে। দুই রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া প্রথমে বৈঠক হলে ঢোকার অনুমতি ছিল দুই নেতার সঙ্গে থাকা শুধু দোভাষীর। সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন তাঁরা। পরে সেখানে যোগ দেন দু’দেশের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারাও। এ দিনের বৈঠকের বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশে ফেরার পরই এ বিষয় যাবতীয় তথা জানানো হবে বলে হোয়াইট হাইস সূত্রে খবর। যদিও, বৈঠক শেষে ট্রাম্প এবং কিম— দু’জনই বললেন ‘‘একটা বড় সমস্যার সমাধান হল।’’

ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠকের কিছু মুহূর্ত।— ছবি রয়টার্স।

কিন্তু, আদতে কী সব সমস্যার সমাধান হল?

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে মদত বন্ধ করুন কিম, চাইছে দিল্লি

কূটনৈতিক মহলের মত, কিম বা ট্রাম্প— তাঁদের দু’জনকেই বোঝা দায়! বৈঠক পরবর্তী সময়ে দু’জনই কী শান্তির পথে থাকবেন? কিম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কতটা গুরুত্ব দেবেন? তাঁর দেশে মজুদ থাকা পরমাণু ধ্বংস করতে আদতে রাজি হবেন কিম? আবার, উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে যে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার মার্কিন সেনা মজুদ রয়েছে, তা সরিয়ে নিতে রাজি থাকবেন ট্রাম্প? এই বৈঠকে কি মেটাবে দুই কোরিয়ার দ্বন্দ্ব?

আরও পড়ুন: ‘চৈত্র সেলের’ সিঙ্গাপুরে কি দর কষাকষি!

এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তামাম দুনিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন