ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ সেনাই, বলল ইউক্রেন

কোনও রুশপন্থী জঙ্গি নয়, এমএইচ১৭ বিমানে রুশ সেনাইআঘাত হেনেছিল বলে দাবি করল ইউক্রেন। মঙ্গলবার মস্কোর বিরুদ্ধে সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের তথ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর ভিতালি নায়দা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিয়েভ শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০২:৩৮
Share:

কোনও রুশপন্থী জঙ্গি নয়, এমএইচ১৭ বিমানে রুশ সেনাইআঘাত হেনেছিল বলে দাবি করল ইউক্রেন। মঙ্গলবার মস্কোর বিরুদ্ধে সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের তথ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর ভিতালি নায়দা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সশস্ত্র এবং শিক্ষিত রুশ সেনা অফিসার ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার বোতামটি টিপেছিলেন।” তিনি জানান, মস্কোর বিরুদ্ধে তাঁদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।

Advertisement

কী তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা?

নায়দা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রুশ সেনাদের কথোপকথনের কিছু রেকর্ডিং তাঁদের হাতে এসেছে। সে সব থেকে এ কথা স্পষ্ট, রুশ সেনারা নিজেদের মধ্যে এমএইচ১৭-এর অবস্থান এবং গতি নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কথাবার্তা বলেছেন। এবং সেই সব কথাবার্তার ভিত্তিতেই বিমানটি ওই এলাকায় প্রবেশের বেশ কিছু ক্ষণ আগে থেকে ছোড়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। নায়দার দাবি, যে গতিতে বিমানটি আসছিল তা থেকে যে কোনও বিশেষজ্ঞই বুঝতে পারতেন সেটি যাত্রিবাহী বিমান। তাই জেনে বুঝেই ওই বিমানটিকে আক্রমণ করেছিল রুশ সেনা। আজও এই নাশকতার সঙ্গে কোনও যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশপন্থী জঙ্গিরা। তাদের দাবি, তদন্তকারীরা চোখ কান খুলে কাজ করলেই বুঝতে পারবেন এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে।

Advertisement

নায়দার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মস্কোও। রুশ সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আন্দ্রেই কারতাপোলভের দাবি, এই ঘটনায় রুশ সেনার কোনও হাত নেই। ইউক্রেনই হামলা চালিয়ে রাশিয়ার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। আজ ফের আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে মস্কো।

পুতিনের নির্দেশে এমন কাজ অসম্ভব নয় বলেই মনে করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, ২০১১-এ একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁর দেখা হয় পুতিনের সঙ্গে। করমর্দনের সময় পুতিনের দিকে তাকিয়ে জো বলেন, “আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছি, অন্তরাত্মা বলে কিছুই নেই আপনার।” সেই কথার উত্তরে পুতিন হেসে বলেন, “আমরা একে অপরকে বুঝি।” বাইডেনের দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় পুতিনের পক্ষে কোনও নৃশংস কাজ করাই অসম্ভব নয়। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পক্ষপাতিত্বে বিশ্বাসী নয়। আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের রিপোর্ট যাই হোক, তা মেনে নিতে সমস্যা নেই আমেরিকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন