দুপুরে রানির ভোজ, রাতে ওয়েম্বলিতে জমকালো সংবর্ধনা

তিন দিনের সফরের প্রথম দিনটা কাল ভালয়-মন্দয় কাটলেও, ব্রিটেনে আজ দিনভর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে রাজকীয় অভ্যর্থনা আর গণ-সংবর্ধনা। রাজকীয় অভ্যর্থনার জন্য এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাকিংহাম প্যালেসে মধ্যাহ্ণভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রানি এলিজাবেথ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:২৯
Share:

ব্রিটিশ বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হুগো সয়্যারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে, বৃহস্পতিবার।

তিন দিনের সফরের প্রথম দিনটা কাল ভালয়-মন্দয় কাটলেও, ব্রিটেনে আজ দিনভর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে রাজকীয় অভ্যর্থনা আর গণ-সংবর্ধনা।

Advertisement

রাজকীয় অভ্যর্থনার জন্য এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাকিংহাম প্যালেসে মধ্যাহ্ণভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রানি এলিজাবেথ।

আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গণ-সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। যেখানে আজ সন্ধ্যায় ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন মোদী। অনাবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে দেওয়া হবে গণ-সংবর্ধনা, ৬০ হাজার দর্শকের সামনে। জাঁক-জৌলুসে তা অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ে কোনও অংশে কম হবে না বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রায় ছ’শো জন বিশিষ্ট শিল্পী, গায়ক-গায়িকা।

Advertisement

পড়ুন এই সংক্রান্ত আরও খবর
সহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্নে মোদীর মুখে গাঁধীনাম

কাল, সফরের প্রথম দিনে হিথরো বিমান বন্দরে নামার পর থেকেই দিনভর হরেক রকমের অভ্যর্থনা আর কর্ম ব্যস্ততায় দিনটি কেটে যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। তাঁকে ‘গান স্যালুট’ দিয়ে সম্মান জানানো হয়। দেওয়া হয় ‘গার্ড অফ অনার’। পরে তাঁর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে বসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সেখানে অসামরিক ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

যদিও ওই ব্যস্ততা আর অভ্যর্থনার মধ্যে কাল, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেন সলমন রুশদি, হরি কুঁজরু, নীল মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট দু’শো লেখক, সাহিত্যিক। ভারতে যে ‘অসহিষ্ণুতা’ আর ‘হিংসা’র আবহ তৈরি হয়েছে আর তা উত্তরোত্তর জটিলতর হয়ে উঠছে, তার প্রতিবাদে ওই বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিকরা খোলা চিঠি দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর উদ্বেগের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ব্যক্তিগত স্তরে ও প্রকাশ্যে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সেই অনুরোধ রেখেছেন কিনা, তা না জানা গেলেও, কাল মুখোমুখি বৈঠকের পর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকরাই এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। কাল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রয়্যাল গ্যালারিতেও ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনের গিল্ড হলে বিশিষ্ট ব্রিটিশ শিল্পপতিদের এক সভায়ও ভাষণ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী কাল রাতটা কাটান বাকিংহামশায়ারে চেকার্সের একটি ম্যানসনে। ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি ওই ম্যানসনটি খুবই পছন্দের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। নিরালায় থাকতে মাঝে-মধ্যেই সেখানে চলে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।

আজ সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকের পর ব্রিটেনের বহু শিল্পপতি ও সে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির সিইও-দের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রানি এলিজাবেথের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ রক্ষায় মোদী সেখান থেকেই যাবেন বাকিংহাম প্যালেসে। তার পর যাবেন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। যেখানে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে তিনি ভাষণ দেবেন। অনাবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে সেখানে দেওয়া হবে গণ-সংবর্ধনাও। সেখানে হাজির থাকার কথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও মুম্বইয়ের বহু বিশিষ্ট শিল্পী, গায়ক-গায়িকা ও অভিনেতার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন