Operation Devil Hunt

১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি গ্রেফতার! ‘শয়তানের খোঁজ’-এ বাংলাদেশ জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ছ’মাস পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সেই আবহেই শনিবার রাতে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৭
Share:

অশান্ত বাংলাদেশে পুলিশি টহল। ছবি: পিটিআই।

অপারেশন ‘শয়তানের খোঁজ’-এ বাংলাদেশে ১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করল পুলিশ! বাংলাদ‌েশের সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১,৩০৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। রবিবার দুপুরে পুলিশের সদর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে এই পরিসংখ্যান।

Advertisement

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ছ’মাস পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনার পর বর্তমানে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গাজীপুর। সেই আবহেই শনিবার রাতে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদেরকেই গ্রেফতার করা হবে।”

শুধু গাজীপুরেই ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আর এক সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সকলেই হাসিনার আওয়ামী লীগের সমর্থক। গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কথায়, “আটক ব্যক্তিরা ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন।”

Advertisement

উল্লেখ্য, ধানমন্ডির ঘটনার পর গোটা বাংলাদেশ জুড়েই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু হয়েছে। সেই আবহে শুক্রবার রাতে গাজীপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে চড়াও হয় একদল জনতা। তখনই স্থানীয় কিছু মানুষ হামলাকারীদের কয়েক জনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব। সেখানে সংগঠনের এক সক্রিয় সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভ সামলাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement