International News

ঘ্যানঘ্যানে কান্না থামাতে এক মাসের ছেলেকে বাথটাবে চুবিয়ে মারলেন মা!

বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেইনারের দেহটা একটা ব্যাগে ভরে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রাখেন জেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অ্যারিজোনা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৪৯
Share:

অভিযুক্ত মহিলা জেনা।

ছেলের কান্না আর সহ্য হচ্ছিল না। ঘ্যানঘ্যানে কান্নার হাতে থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজছিলেন মা। মোবাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটে খুঁজতে শুরু করেন নানা রকম পন্থা। ‘কী ভাবে তাড়াতাড়ি মৃত্যু হয়’, জলে চুবিয়ে ধরলে মৃত্যু হতে কত সময় লাগে, এমন পাঁচ বাবা-মা যাঁরা সন্তানদের খুন করেছেন, কেন বাবা-মা সন্তানদের খুন করলেন— এমন বেশ কয়েকটি বাক্য দিয়ে সার্চ করেন অ্যারিজোনার বছর উনিশের জেনা ফোলওয়েল।

Advertisement

সার্চ করা বিষয়গুলির মধ্যে থেকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন খুন করা একটি পন্থা। নেট ঘেঁটে পাওয়া সেই বর্ণনা মতোই নিজের এক মাসের ছেলের কান্না একেবারের জন্য থামিয়ে দিতে বাথটাবে চুবিয়ে ধরেছিলেন। কিছু ক্ষণ ছটফট করার পরই নিথর হয়ে যায় ছোট্ট রেইনারের দেহটা।

বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেইনারের দেহটা একটা ব্যাগে ভরে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রাখেন জেনা। তার পর পুলিশে ফোন করে জানান, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোমর ভেঙে হাসপাতালে, তাতেই রাতারাতি কোটিপতি প্রৌঢ়

এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, তদন্তে নেমেই জেনার আচরণে অসংলগ্নতা লক্ষ্য করে তাঁদের সন্দেহ হয়। তল্লাশি চালানোর সময় বাড়ির ভিতর থেকেই একটা ব্যাগের মধ্যে রেইনারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জেরা করা শুরু হয় জেনাকে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার নানা রকম গল্প ফাঁদা শুরু করেন তিনি। পুলিশকে জেনাজানান, ছেলেকে নিয়েই বাথটাবে স্নান করছিলেন। সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন ঘুম ভাঙে দেখেন ছেলে জলের উপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তবে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, স্নান নয়, খুন করার উদ্দেশেই ছেলেকে বাথটাবে চুবিয়ে মারেন জেনা। পরে যদিও জেনা এই কথাই স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। খুনের অভিযোগে জেনাকে গ্রেফতার করা হয় জেনাকে।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসের প্রশ্নে সিরিয়ার থেকেও তিন গুণ বেশি বিপজ্জনক পাকিস্তান, বলছে রিপোর্ট

কেন এমনটা করলেন তিনি?

জেরায় পুলিশের কাছে জেনা জানিয়েছেন, ছেলের কান্না শুনতে তাঁর ভাল লাগছিল না। রাগের বশে বাথটাবে চুবিয়ে ধরেন। কিন্তু রেইনারের দেহটা নিথর হয়ে গেলে তাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন।

জেনার স্বামী এরিক ক্যাঙ্কু স্ত্রীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ছেলেটাকে যে ভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে ভাবা যায় না।”

(সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়েবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেরআন্তর্জাতিকবিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন