পিরামিডের উপর সেই ড্যানিশ যুগল।
মিশরের পিরামিডের উপর নগ্ন হয়ে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় এক যুগল। শনিবার এমনই একটি ছবি সামনে আসার পরেই প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নভেম্বরের এক রাতে ডেনমার্কের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গিনী গিজার খুফু পিরামিডের উপর উঠতে দেখা যায়। সেখানে তাঁরা নগ্ন অবস্থায় ছবি তোলেন। শুধু ছবি তোলাই নয়, সেই অবস্থায় ভিডিয়োও শুট করেন। মাত্র তিন মিনিটের সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ভিডিয়ো ও ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে মিশর প্রশাসন। কী ভাবে ওই দু’জন পিরামিডের উপর উঠলেন এবং নগ্ন অবস্থায় ছবি ও ভিডিয়ো শুট করলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। শুধু মিশরই নয়, নেট দুনিয়ায় ওই যুগলের কর্মকাণ্ড নিয়ে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে। মিশরের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ অল-আনানি বিষয়টির তদন্তভার দিয়েছেন প্রসিকিউটর জেনারেলকে।
আরও পড়ুন: গুগল ম্যাপ দেখে ড্রাইভিং, ৩০ ফুট খাদের জলে পড়ল গাড়ি
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের হিরে ব্যবসায়ী খুনে আটক এই বাঙালি টেলি নায়িকা
মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিয়ো এবং কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বিদেশি যুগল পিরামিডের উপর উঠে নগ্ন অবস্থায় ছবি তুলছেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। যদি এমনটা সত্যি ঘটে থাকে, তা হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
মিশরে পিরামিডের উপর ওঠা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে তাঁরা উঠলেন সেখানে সেটাই ভাবাচ্ছে মিশর প্রশাসনকে।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী গত বুধবারেই ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো আপলোড করেন ড্যানিশ ফোটোগ্রাফার অ্যান্ড্রিয়াস হিড। নিউজার-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভিডিয়োটি আপলোড করার পর অ্যান্ড্রিয়াস লেখেন, “নভেম্বরের শেষের দিকে এক বন্ধু আর আমি গিজার গ্রেট পিরামিডে উঠেছিলাম। রক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিরামিডের আশপাশে লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। অবশেষে সুযোগ পেয়েই পিরামিডে উঠে পড়ি।”
সমালোচনার পাশাপাশি ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পিরামিডের ডিরেক্টর জেনারেল আশরাফ মোহি বলেন, “ মিশরের পিরামিড বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান।মিশরে পিরামিডে ওঠা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রচন্ড নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকে পিরামিডগুলিতে। সন্দেহ করা হচ্ছে এই ঘটনা ভুয়ো।”