International News

মোদী-ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাতেই সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা

সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা ছাড়াও বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা জাতীয় বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর দিকেও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দু’দেশ। সীমান্তের ও পার থেকে জঙ্গি হানা যে শুধুমাত্র ভারতের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কাছেই উদ্বেগের কারণ, তা-ও আলোচিত হয়েছে মোদী-ট্রাম্পের ওই বৈঠকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১০:২৯
Share:

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাতের অনেকটাই জুড়ে রইল সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ। সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের লনে দাঁড়িয়ে দু’জনে যৌথ ভাবে তেমনটাই জানিয়েছেন।

Advertisement

সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা ছাড়াও বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা জাতীয় বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর দিকেও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দু’দেশ। সীমান্তের ও পার থেকে জঙ্গি হানা যে শুধুমাত্র ভারতের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কাছেই উদ্বেগের কারণ, তা-ও আলোচিত হয়েছে মোদী-ট্রাম্পের ওই বৈঠকে। পরে বিবৃতি দিয়ে সমস্তটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

Advertisement

আরও পড়ুন

হিজবুল প্রধান সালাউদ্দিন ‘আন্তর্জাতিক

এ দেশে সন্ত্রাসে মদত যোগানোর অভিযোগ তুলে বরাবরই ইসলামাবাদকে দায়ী করেছে ভারত। সন্ত্রাসের মোকাবিলায় এবং জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলি ভেঙে দেওয়ার কাজে দু’দেশই যৌথ ভাবে কাজ করবে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন মোদী। তাঁর পাশাপাশি ট্রাম্পও বলেন, “জঙ্গি সংগঠন ও মৌলবাদী মতাদর্শে মদতকারীদের উপড়ে ফেলতে উভয় দেশই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কট্টরপন্থী ইসলামিক সন্ত্রাসবাদকে আমরা ধ্বংস করবই।” সন্ত্রাসবাদ কোনও আঞ্চলিক সমস্যা নয়। তা গোটা বিশ্বের জন্যই উদ্বেগের। এই যুক্তিতে ভারতের মাটিতে অতিসক্রিয় জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াইতেও দু’দেশের গোয়েন্দারা মিলিত হয়ে কাজ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

মোদী-ট্রাম্প বৈঠক নিয়ে ভারতীয় বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দুই নেতার বৈঠকে মূলত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টি বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, “বৈঠকে পাকিস্তান নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। এটা যে শুধু ভারতের একার সমস্যা নয়, তা নিয়ে দু’দেশই ঐকমত্য হয়েছে। আলোচনায় আফগানিস্তান প্রসঙ্গও উঠেছে।” হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করে ওই দিন আমেরিকা যে সদর্থক বার্তা দিয়েছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

এ সবের পাশাপাশি, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পড়শি দেশগুলিতে যাতে জঙ্গি হামলা চালানো না হয়, ইসলামাবাদকে তা নিশ্চিত করতে বার্তা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মুম্বই ও পঠানকোট হামলা-সহ পাক মদতপুষ্ট একাধিক জঙ্গি হামলায় অভিযুক্তদের বিচার দ্রুততার সঙ্গে মেটাতে হবে বলেও সরব হয়েছে ভারত-আমেরিকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন