কোণঠাসা নওয়াজ, ‘কোমায়’ দু’দেশের সম্পর্ক!

ফাঁড়া কাটালেও খাঁড়া ঝুলছে তাঁর ঘাড়ে! দুর্নীতির দায়ে গদি হারানো থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু সে দেশের যৌথ তদন্তকারী কমিটি দু’মাস পরে পানামা দুর্নীতিতে নওয়াজের যোগ নিয়ে যে রিপোর্ট আদালতকে দেবে, তার ভিত্তিতে তিনি পদচ্যুত হবেন কিনা, তা কেউ জানে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫১
Share:

ফাঁড়া কাটালেও খাঁড়া ঝুলছে তাঁর ঘাড়ে!

Advertisement

দুর্নীতির দায়ে গদি হারানো থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু সে দেশের যৌথ তদন্তকারী কমিটি দু’মাস পরে পানামা দুর্নীতিতে নওয়াজের যোগ নিয়ে যে রিপোর্ট আদালতকে দেবে, তার ভিত্তিতে তিনি পদচ্যুত হবেন কিনা, তা কেউ জানে না। তবে গোটা পর্বে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার যে প্রয়াস শুরু হয়েছিল, তা বেশ খানিকটা ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

এক বছর পরে পাকিস্তানে ভোট। ফলে আগামী বছরটা পাক রাজনীতি যে নওয়াজের বেআইনি সম্পত্তির অভিযোগ নিয়ে উত্তাল থাকবে, তা এখনই বেশ স্পষ্ট। ইমরান খান ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় এই সব নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খুলছে না ভারত। তবে ঘরোয়া ভাবে বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, ভারত-পাক সম্পর্ক সম্ভবত দীর্ঘমেয়াদি ‘কোমায়’ চলে গেল। কূলভুষণ যাদবকে মুক্ত করার জন্য ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই ডামাডোলের বাজারে সেই কাজটিও আরও কঠিন হয়ে পড়ল।

Advertisement

এটা ঘটনা যে ভারত বারবারই বলে এসেছে, পাকিস্তানকে আগে সন্ত্রাসবাদ রফতানি বন্ধ করতে হবে। এটাই তাদের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত। যদিও ভারতের কাছে এটাও স্পষ্ট যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অতি দুঃসময়েও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা নওয়াজ তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার পথ খোলার চেষ্টা করে গিয়েছেন বারবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নওয়াজের সম্পর্কের রসায়নও যথেষ্ট ভাল। তাই ‘ট্র্যাক টু’ পথে চেষ্টা চলছিল, যাতে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন-এর আসন্ন সম্মেলনে মোদী-শরিফ পার্শ্ববৈঠক হয়।

কূটনীতিকদের মতে, পানামা কাণ্ডের পরে নওয়াজ ও তাঁর দল পিএমএল(এন) রাজনৈতিক ভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে ঘর সামাল দেওয়াটাই তাঁর এই মুহূর্তের ধ্যানজ্ঞান হতে চলেছে। এই অবস্থায় দেশের কট্টর ভারত-বিদ্বেষী অংশের তথা আইএসআই–র বিরুদ্ধে গিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার জমি তৈরি করা তাঁর পক্ষে খুবই কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন