COVID-19

New Corona Strain: দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কোভিডের নতুন রূপ, আমেরিকা, ইউরোপের নানা দেশে বাড়ছে উদ্বেগ

কী ভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ? ফাউচির দাবি প্রতিষেধক ও সঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ় সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেকটাই সহায়ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৪:৩৯
Share:

ছবি রয়টার্স।

উদ্বেগ জাগিয়ে ক্রমশ আমেরিকায় কোভিড সংক্রমণের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে ওমিক্রনের বিএ.২ ভেরিয়েন্টটি। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের ক্ষেত্রেও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমনটাই দাবি।

Advertisement

সান দিয়েগোর একটি জিনোমিক্স সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় বর্তমানে যত সংখ্যক কোভিডে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন বিএ.২ ভেরিয়েন্টে। গত দুই সপ্তাহের কোভিড পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এই চিত্র। নিউ ইয়র্কেই গত এক সপ্তাহে ফের বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যখন আমেরিকায় প্রথম এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এই নতুন ভেরিয়েন্ট। তবে এখনও সেটি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠেনি বলেই জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গও খুব একটা ভয়াবহ নয় বলেই এখনও পর্যন্ত খবর।

Advertisement

কী ভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ? ফাউচির দাবি প্রতিষেধক ও সঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ় এই সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেকটাই সহায়তা করবে। তার সঙ্গে মেনে চলতে হবে কোভিড বিধিগুলিও। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন, ওমিক্রনের প্রথম ভেরিয়েন্টের থেকে ‘মাত্র’ ৩০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই বিএ.২ ভেরিয়েন্টটি।

যদিও ফাউচি জানিয়েছেন, সংখ্যাটি আসলে ৬০। আর উদ্বেগ সেখানেই। গতানুগতিক কোভিড পরীক্ষায় অনেক সময়েই এই ভেরিয়েন্টটি ধরা পড়ে না বলে এটিকে ‘স্টেলদ ভেরিয়েন্ট’ বলেন কেউ কেউ। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহেই যেন লাফিয়ে বাড়ছে এই নতুন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা।

ওমিক্রনের এই নতুন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণে আশঙ্কার চিত্র দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনেও। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সে দেশে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশের দেহেই রয়েছে নতুন ভেরিয়েন্টের উপস্থিতি। আর তার পরেই বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যদিও আক্রান্তের উপসর্গ খুব মারাত্মক নয়, কিন্তু এই স্ট্রেনটিতে সম্ভাবনা রয়েছে বার বার আক্রান্ত হওয়ার। ফলে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়া ও সেরে ওঠার মাঝের সময়কালটি ক্রমশ বাড়ছে। যা নিয়ে স্বভাবতই চিন্তিত চিকিৎসকেরা।

ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে নাজেহাল চিনও। ‘জ়িরো কোভিড’ পলিসি নিয়ে চলা দেশটির একের পর এক শহরে লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে। রাতারাতি ন’লক্ষ বাসিন্দা থাকেন এমন একটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে চিন। মঙ্গলবার চার হাজারেরও বেশি কোভিড আক্রান্ত ধরা পড়েছে। আগেও শেনজেন নামে একটি শহর লকডাউন করেছে চিন। ওমিক্রনের ধাক্কায় বেসামাল চিনের বেশ কিছু এলাকা। জোর দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা ও শহর অনুযায়ী লকডাউনে। তার মধ্যেও গত এক বছরে এই প্রথম দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রনের প্রথম ভেরিয়েন্ট অর্থাৎ বিএ.১ ও এই নতুন বিএ.২ ভেরিয়েন্টের মধ্যে মূলত জিনগত সিকোয়েন্সে ফারাক রয়েছে। রয়েছে কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড ও স্পাইক প্রোটিনের পার্থক্যও। যে ফারাকের কারণে এই ভেরিয়েন্টটি অতি সংক্রামক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন