চোখেমুখে উদ্বেগ। চেলসিতে। ছবি: এএফপি
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ম্যানহাটানের চেলসি ও তার আশপাশের এলাকা। স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। তবে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। আহত ২৯। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। আগামিকাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বৈঠক শুরু। সেই সভায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রনেতারা নিউ ইয়র্কে আসতে শুরু করেছেন। তার আগে এই বিস্ফোরণ, নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিওর মতে, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে তেমন কোনও প্রমাণ নেই যাতে এর সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছে বলে মনে হতে পারে।’’
বিস্ফোরণের কারণ কী? ঘটনাস্থল ও তার আশপাশের এলাকা সরেজমিনে তদন্ত করে গ্যাস লিকের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
এ দিনই প্রথম বিস্ফোরণস্থলের চারটি ব্লক পরেই উদ্ধার হয় আর একটি বিস্ফোরক ভর্তি প্রেসার কুকার। তার দিয়ে জড়ানো কুকারটি একটি মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা ছিল। তার পাশে একটি চিরকুটও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ এসে সময়মতো বিস্ফোরকটি নিষ্ক্রিয় করে। শনিবারই নিউ জার্সি বিচ টাউনে একটি পাইপ বোমা ফাটে। তবে তার সঙ্গে এই বিস্ফোরণের কোনও যোগ আছে বলে মানতে নারাজ মেয়র বিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘এত জোরে আওয়াজ হয়েছিল, সব কিছুই কেঁপে উঠেছিল। জানলাটাও জোরে জোরে দুলছিল।’’ তবে এই বিস্ফোরণে শহরের মানসিক জোরে চিড় ধরবে না বলেই মন্তব্য করেন আর এক প্রত্যক্ষদর্শী। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্তের খুঁটিনাটি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। ডেমোক্রেটিক পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনও ঘটনার হাল-হকিকত রাখছেন বলে জানান। রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘কী হচ্ছে কেউ জানে না। তবে আমরা এমন সময়ে বাস করি-আমাদের শক্ত হওয়া ছাড়া উপায় নেই।’’