Rajasthan Woman goes to Pakistan

‘প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই’! অঞ্জুকে নিয়ে পাক পুলিশের কাছে হলফনামা দিয়ে দাবি নাসরুল্লার

আপার ডির জেলার পুলিশ আধিকারিক, মুস্তাক খান সাংবাদমাধ্যমে বলেন, “২০ অগস্ট পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ রয়েছে অঞ্জুর। তার পর আপার ডির ছেড়ে চলে যেতে হবে অঞ্জুকে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১২:২৫
Share:

সীমা হায়দরের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা বন্ধ হোক, এক সংবাদমাধ্যমে এমনই জানিয়েছেন রাজস্থান থেকে পাকিস্তানে যাওয়া ভারতীয় বধূ অঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর আর ভারতীয় বধূ অঞ্জুর মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। এ বার পুলিশকে হলফনামা দিয়ে জানালেন পাকিস্তানের বাসিন্দা নাসরুল্লা। গত ২১ জুন রাজস্থানের অলওয়ার থেকে পঞ্জাব হয়ে পাকিস্তানে ফেসবুক ‘বন্ধুর’ সঙ্গে দেখা করতে যান অঞ্জু। তার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে সীমা হায়দর-সচিন মীণার প্রেমকাহিনির মতো জোর চর্চা চলছে দু’দেশ জুড়ে।

Advertisement

এমনও দাবি উঠেছে যে, পাকিস্তানে প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছেন ভারতীয় বধূ। এ যেন ঠিক আরও একটি সীমা হায়দরের কাহিনি! তাঁকে নিয়ে যখন এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, অঞ্জু সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, তিনি পালিয়ে যাননি। পাকিস্তানে তাঁর ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে আবার ২০ অগস্ট ফিরে আসবেন। একই সঙ্গে, তাঁকে যখন সীমা হায়দরের সঙ্গে তুলনা করা শুরু হয়েছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে অঞ্জু বলেন, “আমি সীমা হায়দর নই। সীমার কাহিনির সঙ্গে জুড়ে দেওয়াটা ঠিক নয়।”

ঘটনাচক্রে, সীমার মতোই ২০১৯ সালে পাক ‘বন্ধু’ নাসরুল্লার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় বিবাহিতা অঞ্জুর। তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তানও রয়েছে। তবে সীমার মতো বেআইনি ভাবে নয়, রীতিমতো ভিসা নিয়েই পাকিস্তানে পা রেখেছেন অঞ্জু। সে কথা পাকিস্তান পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে। তাঁদের ‘প্রেমকাহিনি’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে সীমান্তের দু’পারে, নাসরুল্লা পুলিশের কাছে লিখিত হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা শুধুই বন্ধু। কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। শুধু তাই-ই নয়, যে এলাকায় নাসরুল্লা থাকেন, অর্থাৎ খাইবার পাখতুনখোয়ার আপার ডির এলাকা, ওই এলাকা ছেড়ে অঞ্জু কোথাও যাবেন না বলেও হলফনামায় জানিয়েছেন নাসরুল্লা।

Advertisement

আপার ডির জেলার পুলিশ আধিকারিক, মুস্তাক খান সাংবাদমাধ্যমে বলেন, “২০ অগস্ট পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ রয়েছে অঞ্জুর। তার পর আপার ডির ছেড়ে চলে যেতে হবে অঞ্জুকে।” রবিবার অঞ্জুকে নিজের দফতরে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর নথিপত্র পরীক্ষা করেন বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকের। সেই নথি সঠিক থাকায় কোনও রকম আপত্তি জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। পেশোয়ার থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে কুলশো গ্রাম থেকে এক সংবাদমাধ্যমকে নাসরুল্লা বলেন, “অঞ্জু পাকিস্তানেই রয়েছেন। আর আমাদের বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা নেই। ভিসার মেয়াদ শেষ হলেই অঞ্জু ফিরে যাবেন। অঞ্জু আমার পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে আলাদা ভাবেই রয়েছেন।”

অন্য দিকে, অঞ্জুর ভাই ডেভিড এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাঁরা যখন খবর পান অঞ্জু পাকিস্তানে, পুরো পরিবার স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ অঞ্জু যাওয়ার সময় ‘জয়পুর যাচ্ছি’, এটাই বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন বলে জানান ডেভিড। তার পর অমৃতসর থেকে বাড়িতে ফোন করে জানান, জয়পুরের বদলে পঞ্জাবে চলে এসেছেন। তার পর আবার ফোন করে জানান, তিনি লাহোরে। ডেভিডের কথায়, “বাড়ির সবাই যখন জানতে পারি যে দিদি লাহোরে, তখন বা়ড়ির বড়রা দিদিকে বকাঝকাও করেন। কিন্তু দিদি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলে, খুব শীঘ্রই ও বাড়িতে ফিরে আসবে।” ডেভিড আরও বলেন, “একেই সীমা হায়দরকে নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, এই সময়ে অঞ্জু পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় খুব ভয়ে আছি আমরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন