ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ভিসা নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিল আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, সন্তানের জন্ম দিতে কেউ আমেরিকায় যেতে চাইলে, তৎক্ষণাৎ তার ভিসার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার ভারতের মার্কিন দূতাবাসের তরফে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, আমেরিকার আধিকারিকেরা যদি মনে করেন, স্রেফ সন্তানের জন্ম দিতেই কেউ আমেরিকায় যাচ্ছেন, তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পর্যটক ভিসা বাতিল করে দেওয়া হবে।
আমেরিকার দাবি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই অনেক পর্যটকই ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দিতে চান। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই গত ২০ জানুয়ারি একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশনামায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বাতিল করে দেওয়ার কথা বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবারই আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখবে।
আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট যদি ট্রাম্পের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়, তবে আমেরিকায় নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ১২৫ বছরের নিয়ম বদলে যাবে। এত দিন ধরে আমেরিকায় নিয়ম ছিল যে, আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করলে কোনও শিশু সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প এই নিয়মেই বদল আনতে চান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমেরিকা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নিতে পারবে না।” ট্রাম্প অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দিলেও ইতিমধ্যেই যাঁরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না।
বাণিজ্যচুক্তি ঘিরে টানাপড়েন এবং শুল্কযুদ্ধের আবহে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, সেই দিনই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের ভিসা সংক্রান্ত হুঁশিয়ারিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।