Nobel Peace Prize 2022

নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় কি ৩ ভারতীয়

প্রতি বছর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর শান্তি পুরস্কার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তালিকা প্রকাশ করেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ডিরেক্টর হেনরিক আর্ডালের সেই তালিকাতেই রয়েছেন হর্ষ, প্রতীক ও জ়ুবের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অসলো শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১১
Share:

সাহিত্যিক হর্ষ মন্দার, ফ্যাক্ট চেকার তথা সত্য অনুসন্ধানকারী মহম্মদ জ়ুবের ও প্রতীক সিন্হা (বাঁ দিক থেকে ডান দিকে)।

সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন সাহিত্যিক হর্ষ মন্দার, ফ্যাক্ট চেকার তথা সত্য অনুসন্ধানকারী মহম্মদ জ়ুবের ও প্রতীক সিন্হার নাম। নরওয়ের রাজধানী অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের ব্যক্তিগত তালিকায় আরও অনেকের সঙ্গে উঠে এসেছেন এই তিন জন। সম্প্রতি এমন দাবি করেছে প্রথম সারির আমেরিকান পত্রিকা। নরওয়ের আইনসভার সদস্যদের তালিকাতেও আছেন প্রতীক ও জ়ুবের। এর সঙ্গে বুকমেকারদের জল্পনা তো রয়েইছে।

Advertisement

প্রতি বছর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর শান্তি পুরস্কার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তালিকা প্রকাশ করেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ডিরেক্টর হেনরিক আর্ডালের সেই তালিকাতেই রয়েছেন হর্ষ, প্রতীক ও জ়ুবের। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, এটি হেনরিকের ব্যক্তিগত তালিকা। শান্তি পুরস্কারের ভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেন বলে তিনি কখনওই নোবেল কমিটির কাছে মনোনয়ন জমা দেন না।

কিন্তু পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় কেন বেছে নেওয়া হয়েছে এই তিন ভারতীয়কে? বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে হর্ষের সংগঠিত ‘কারওয়ান-এ-মহব্বত’ (ক্যারাভান অব লাভ) ক্যাম্পেনের মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক হিংসা ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতীক সিন্‌হা ও মহম্মদ জ়ুবেরের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ভুল তথ্য প্রচার করে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর বিরুদ্ধে নিজেদের তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়া দিয়ে লড়াই চালিয়েছেন এই দু’জন।

Advertisement

চলতি বছরের জুন মাসেই ২০১৮ সালের টুইটের মাধ্যমে হিংসার প্ররোচনা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে মহম্মদ জ়ুবেরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ তোলা হয়। সেই সময় তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয় দেশ বিদেশের বহু সংগঠন। এক মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। পরে, শীর্ষ আদালত তাঁকে জামিন দেয়।

তালিকায় রয়েছেন রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি, বেলারুসের স্বেতলানা সিখানোস্কায়া, উইঘুরদের নিয়ে কাজ করা চিনা মানবাধিকার কর্মী ইলহাম টোটি, হংকংয়ের মানবাধিকার কর্মী অ্যাগনেস চাও এব‌ং নাথান লাও কুন-চুং-ও। সংস্থা হিসেবে নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত, হিউম্যান রাইটস ডেটা অ্যানালিসিস গ্রুপ ও সেন্টার ফর অ্যাপ্লায়েড ননভায়োলেন্ট অ্যাকশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজ়িসের। নরওয়ের আইনসভার সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, পরিবেশ-কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ডেভিড অ্যাটেনবরো এবং অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য স‌ংস্থার নামও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন