সুর চড়ছিল কয়েক দিন ধরেই। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে বিস্তর চটেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে উত্তর কোরিয়ার সেই পরীক্ষার জবাবও দিয়েছে আমেরিকা। এ দিন পোলান্ড সফররত ট্রাম্প আরও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন কিমকে। বললেন, ‘‘ওদের এই পদক্ষেপ খুব বিপজ্জনক। কিছু একটা করতেই হবে।’’
বৃহস্পতিবার পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদার পাশে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন। এর পরে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, সামরিক অভিযানের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কি? তাঁর বক্তব্য, ‘‘দেখা যাক কী হয়। খুব সাংঘাতিক ভাবনাচিন্তাই চলছে।’’ বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে মার্কিন দূত নিকি হ্যালিও বলেন, ‘‘নিজেদের এবং মিত্র দেশগুলিকে বাঁচাতে যথাসম্ভব ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য আমেরিকা প্রস্তুত।’’ তার পাশাপাশিই ট্রাম্পের সুরে তাঁর দাবি, আমরা সামরিক বাহিনী ব্যবহারের পক্ষপাতী নই। নিকিও চান, উত্তর কোরিয়ার উপরে আর্থিক প্রভাব বাড়িয়ে চাপ তৈরি করুক চিন।’’
আরও পড়ুন: আরব-ইহুদি নয়া সমীকরণ, বুঝছে দিল্লিও
এ দিকে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে তাঁর জয়ের পিছনে রুশ হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ প্রথম থেকেই উঠেছে, তা নিয়ে ফের এক দফা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে, আবার অন্য কোনও দেশও করতে পারে। কেউই কিছু জানে না।’’