ফের আইসিবিএম, চোখরাঙানি কিমের

সোলে এ দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। পুরোপুরি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হতে উত্তর কোরিয়ার আর হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল ও বেজিং শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১২
Share:

ফের চোখরাঙানির জন্য তৈরি হচ্ছে কিমের দেশ! তেমনটাই দাবি তাদের প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়ন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী শনিবার ফের আর একটি আর্ন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া।

Advertisement

সোলে এ দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। পুরোপুরি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হতে উত্তর কোরিয়ার আর হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না।’’ এই প্রসঙ্গেই লি নাক-ইয়নের দাবি, ‘‘কেউ কেউ মনে করছেন ৯ তারিখ আর একটি আইসিবিএম পরীক্ষা করবে উত্তর কোরিয়া। ওদের এই বেপরোয়া অবস্থান ঠেকাতে দ্রুত বিশেষ পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’

বৃহস্পতিবারই দিনের গোড়ায় আমেরিকা থেকে বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র থাড-এর চারটি অতিরিক্ত লঞ্চার এসে পৌঁছেছে সোলের তিনশো কিলোমিটার দক্ষিণে সিওংজু-র ঘাঁটিতে। এই নিয়ে এলাকায় এক প্রস্ত বিক্ষোভও হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সামরিক সক্রিয়তা অনেকেই মানতে না পেরে প্রতিবাদ জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়েছেন। তবে যে কোনও মূল্যে উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে সোল বদ্ধপরিকর।

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে আজ দেখা হয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্যোগে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরাম উপলক্ষে সেখানে গিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বৈঠকের পরে তাঁরা বলেন, ‘‘আলোচনার চেয়ে এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার উপরে কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সময় এসেছে।’’

একই সুর চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর গলাতেও। বেজিংয়ে আজ তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার উপরে রাষ্ট্রপুঞ্জ যদি আরও নিষেধ চাপায়, তাতে সমর্থন জানাবে চিন। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন বরাবরই উত্তর কোরিয়ার মিত্র। তাই নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার উপরে যদি সত্যিই নয়া নিষেধ আরোপের কথা ভাবা হয়, তা হলে স্থায়ী সদস্য চিন আদৌ তাতে সায় দেবে না ভেটো দেবে, তা স্পষ্ট নয়। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ‘‘কোরীয় উপদ্বীপে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চিন মনে করছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত। তবে আমরা মনে করি এই সঙ্কট সমাধানে নিষেধ বা চাপ তৈরি করা অর্ধেক রাস্তার মতো। রাস্তাটা শেষ হওয়া উচিত আলোচনা এবং আপস মীমাংসায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন