Internatioanl News

উদ্ধত উত্তর কোরিয়ার ফের পরমাণু বিস্ফোরণ

রাষ্ট্রপুঞ্জ হোক বা আমেরিকার চোখরাঙানি, তিনি যে কাউকেই তোয়াক্কা করেন না ফের প্রমাণ করলেন কিম জং। পঞ্চম বার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি এই বার্তাই দিতে চাইলেন। উত্তর কোরিয়ার দাবি, হিরোশিমার থেকেও শক্তিশালী এই পরমাণু বিস্ফোরণ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:২৬
Share:

কিম জং। ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রপুঞ্জ হোক বা আমেরিকার চোখরাঙানি, তিনি যে কাউকেই তোয়াক্কা করেন না ফের প্রমাণ করলেন কিম জং। পঞ্চম বার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি এই বার্তাই দিতে চাইলেন। উত্তর কোরিয়ার দাবি, হিরোশিমার থেকেও শক্তিশালী এই পরমাণু বিস্ফোরণ। ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবেরি ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সূত্রে খবর, ২০-৩০ কিলোটনের একটি পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কিম। যা আগের পরমাণু বোমাগুলির তুলনায় অনেক শক্তিশালী। হিরোশিমাতে ১৫ কিলোটনের বোমা ফেলা হয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষায় রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয় পাংগাই-রিতে। ভূমিকম্পের ধরন এবং মাত্রা দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হন যে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। তবে এই পরীক্ষা সফল হয়েছে কিনা সে দিকটা নজর রেখেছে সোল।

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হেই এক বিবৃতিতে কিমের এই কাজের নিন্দা করে বলেন, “নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনছে উত্তর কোরিয়া।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, যে ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে কিম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটালেন, তাতে অন্য দেশগুলির সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়বে।

যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার এই অভিযোগকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি পিয়ং ইয়ং। এর আগেও কিম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র উত্‌ক্ষেপণ করেছেন বেশ কয়েক বার। তাঁর এই কর্মকাণ্ডে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিরও কপালে ভাঁজ পড়েছিল আগেই। এ বার যেন চিন্তা আরও বাড়াল!

Advertisement

এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আমেরিকাও নজরদারি বিমান পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সেখানকার বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করার পরই বোঝা যাবে আসল ঘটনাটা ঠিক কী! জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে বলেন, “উত্তর কোরিয়া যদি সত্যি সত্যিই পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায়, সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাব।” জাপানও চারটি বিমান পাঠিয়েছে কোনও তেজস্ক্রিয় নির্গমন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে।

২০০৬-এ উত্তর কোরিয়া যখন প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায়, আমেরিকা পিয়ংইয়ং-কে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তার পরেও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তার পরেও এ বছরের জানুয়ারিতে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় বলে দাবি করে উত্তর কোরিয়া। তখন রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে সতর্ক করা হয়। উত্তর কোরিয়ার উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞাও চাপানো হয়। কিন্তু কিম কিম-ই। তিনি যে দমার পাত্র নন সেটা ভাল ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বার বার।

সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল, সবে মাত্র জি-২০ সম্মেলন শেষ হয়েছে। তার পরেই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কী আরও কঠোর বার্তা পৌঁছে দিতে চাইলেন কিম, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিত্র দেশ চিনের মুখেও ঝামা ঘষে দিলেন কিম।

আরও খবর...

জঙ্গি দমনে বাছাবাছি নয়, পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে মোদীর পাশে ওবামা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন